সামুদ্রিক প্রাণীদের স্বকীয় আলো

সামুদ্রিক প্রাণীদের স্বকীয় আলো

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ৯ ডিসেম্বর, ২০২২

জোনাকিরা যদি সমুদ্রের জলে ঘুরে বেড়াত তাহলে কেমন লাগত? তেমন স্বপ্রভ প্রাণী জলের নিচেও আছে। এই বিষয়টাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বায়োলুমিনেসিয়েন্স বলে, বাংলা তর্জমা হতে পারে জৈবপ্রভা। দেখতে লাগে চমৎকার, যেন কোনও ভিনগ্রহের দৃশ্য।
জৈবপ্রভা সৃষ্টির নেপথ্যে থাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া। প্রাণীদের ক্ষেত্রে দুটো বিশেষ রাসায়নিক পরস্পরের সাথে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বিক্রিয়া করে ঐ আলোর জন্ম দেয়। একটা যৌগকে বলে লুসিফেরিনস আর অন্যটা একটা উৎসেচক (এনজাইম) যার নাম লুসিফেরাসেস। নাম দুটো শুনে দানব লুসিফারের কথা মনে পড়তে পারে। কিন্তু ল্যাটিন ভাষায় লুসিফার শব্দের মানে – যে আলো বয়ে নিয়ে যায়।
১১টা বিভিন্ন প্রকারের লুসিফেরিনস আছে আর কয়েক ডজন লুসিফেরাসেস। অর্থাৎ, জৈবপ্রভার বৈশিষ্ট্য স্বাধীনভাবে বিবর্তনের ধারায় এসেছে। সম্প্রতি গবেষকরা হিসেব করে বলছেন, কমপক্ষে ৯৪বার এটা ঘটেছে প্রাণী বিবর্তনের ইতিহাসে।
গভীর সমুদ্রের প্রাণীরা নীল আলো ছড়ায়। আবার, উপকূলের কাছাকাছি যেসব সামুদ্রিক প্রজাতি তাদের আলো সাধারণভাবে সবুজাভ। স্বাদুজলে এমন প্রাণীরা কিন্তু হলুদ রঙের জৈবপ্রভা তৈরি করে।