সিগারেটের ফিল্টার সংগ্রহ করে দূষণ প্রতিরোধ!

সিগারেটের ফিল্টার সংগ্রহ করে দূষণ প্রতিরোধ!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৫ এপ্রিল, ২০২২

সিগারেটের প্রভাব পরিবেশেও ভয়াবহ। এর সঙ্গে সিগারেটের বাটও প্লাস্টিকের মতোই মাটি ও জলদূষণের জন্য দায়ী। এই দূষণ প্রতিরোধে গত একবছর ধরে লড়াই চালাচ্ছেন বাংলার প্রাক্তন আইটি প্রকৌশলী তথা পরিবেশকর্মী নিরিত দত্ত। সিগারেটের বাটের তুলোয় থাকে সেলুলোজ অ্যাসিটেট। যা মাটির সঙ্গে ভারি ধাতুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে ভয়াবহ দূষণের কারণ হয়ে ওঠে। এই সমস্যার সমাধান করতেই সিগারেট বাট সংগ্রহ এবং তাদের পুনর্ব্যবহারের উদ্যোগ নেন নিরিত। বলতে গেলে, এটাই ছিল ভারতে এই ধরনের প্রথম কোনো উদ্যোগ। জন্ম ও বেড়ে ওঠা কলকাতায় হলেও, কর্মসূত্রে বর্তমানে গোয়ার বাসিন্দা নিরিত। তবে এই কলকাতা শহরের বুকেই শুরু হয়েছিল তাঁর দূষণ রোধের লড়াই। ২০২১-এর এপ্রিলে প্রথম পথ চলা শুরু করেছিল নিরিতের সংস্থা ‘প্রোজেক্ট বাটরাশ’। লক্ষ্য ছিল, পথে পড়ে থাকা সিগারেটের ফিল্টার সংগ্রহ। সেসময় কোনও সঙ্গী ছিল না। একাই পথে নেমেছিলেন নিরিত। সারারাত, মানে টানা ২৪ ঘণ্টা ধরে কলকাতার বুকে চলেছিল অভিযান। এমনকি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সিগারেটের বাট সংগ্রহের জন্য বিশ্ব রেকর্ডও তৈরি করেছিলেন ভারতের প্রথম কনজারভেশন টেক ইভাঞ্জেলিস্ট নিরিত। আজ নিরিতের সংস্থায় কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৩০০। কলকাতায় শুরু হয়ে এই সংস্থা বর্তমানে সিগারেটের ফিল্টার সংগ্রহ করছে বেঙ্গালুরু, দিল্লি, নয়ডাতেও। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে এখনও পর্যন্ত এই সংস্থা ৩ লক্ষ সিগারেটের ফিল্টার। ব্যবহৃত ফিল্টারের পুনর্ব্যবহার এবং দূষণ প্রতিরোধ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন নিরিত।