ব্রিজের উপর দিয়ে রোজ যাতায়াতের সময় পকেটের সেলফোনের তথ্য থেকেই বোঝা যাবে ব্রিজটা কতটা শক্তপোক্ত। গত ৩রা নভেম্বর কমিউনিকেশানস ইঞ্জিনিয়ারিং পত্রিকায় এমনই অভিনব এক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হল।
এখন সব স্মার্টফোনেই অ্যাক্সিলেরোমিটার আর জিপিএস সেন্সর থাকে। সেই ব্যবস্থা থেকেই ব্রিজের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় কতটা কম্পন তৈরি হয় সেই তথ্য জানা যায়। কিছু অ্যাপ এইসব তথ্য একজায়গায় জড়ো করে। সেখান থেকে প্রযুক্তিবিদদের কাছে সতর্কবাণী পৌঁছে যায় একটা নির্দিষ্ট ব্রিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে। এই উপায় সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগালে বড়ো দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা মিলবে বলেই মত গবেষকদের। গত ৩০শে অক্টোবর গুজরাটে বা চলতি বছরের জানুয়ারিতে পিটসবার্গে ভয়াবহ ব্রিজ বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচতে পারবে মানুষজন।
কীভাবে ফোনের মাধ্যমে ব্রিজের নজরদারি চালানো যায়, হাতেনাতে পরীক্ষা করার জন্য গবেষক মাতারাজ্জো পৌঁছে গিয়েছিলেন সান ফ্রান্সিস্কর গোল্ডেন গেট ব্রিজে। সেখানে সেতুর এদিক থেকে ওদিক গাড়ি নিয়ে ১০২ বার পারাপার করেন ঐ বিজ্ঞানী। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াতকারী উবের চালকদের থেকেও তথ্য সংগ্রহ করেছেন সেই গবেষক দল। এর সাথেই ইতালির সিয়ামপিনো ব্রিজেও একই ধরণের পরীক্ষা চালান গবেষকরা। সবকটা ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ব্রিজে লাগানো নির্দিষ্ট যন্ত্রের চেয়ে কোনও অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয় সেলফোনের তথ্য।
মাতারাজ্জো বলছেন, ব্রিজে লাগানো একশো সেন্সরের থেকেও বেশি কার্যকরী সেলফোন নিয়ে একবারমাত্র ব্রিজ পার করার কাজটা। কারণ ব্রিজ অতিক্রম করার সময় নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে তথ্য সরবরাহ করতে থাকে একটা ফোন। যেটা কখনই নির্দিষ্ট জায়গায় লাগানো কোনও যন্ত্র করতে পারে না।