মোবাইল ও ল্যাপটপ-নির্ভর পড়াশোনা যত বাড়ছে, ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে ‘ই-ওয়েস্ট’ (ইলেকট্রনিক ওয়েস্ট) বা পরিমাণ। বাড়ির পাশাপাশি স্কুল-কলেজগুলিতেও জমে যাচ্ছে পুরনো ল্যাপটপ, মোবাইল, চার্জার, সিডি, কিবোর্ডের মতো নানা সামগ্রী। ঠিক মতো সেগুলির পুনর্ব্যবহারের (রিসাইকল) ব্যবস্থা না হলে তা থেকে দূষণ ছড়াতে পারে। তাই শহরের স্কুলগুলি এখন বৈদ্যুতিন বর্জ্যের পুনর্ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতার পাঠ দিতে শুরু করেছে পড়ুয়াদের। শুরু হয়েছে পুনর্ব্যবহারের প্রক্রিয়াকরণও। যে সংস্থা শহরের বিভিন্ন স্কুল থেকে বৈদ্যুতিন বর্জ্য সংগ্রহ করছে, তাদের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রী শ্রী অ্যাকাডেমি স্কুল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ২০০ কেজি বৈদ্যুতিন বর্জ্য। বিবেকানন্দ কলেজ থেকেও ২০০ কেজি বৈদ্যুতিন বর্জ্য জমা হয়েছে।
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বৈদ্যুতিন বর্জ্য দীর্ঘদিন ধরে কোথাও পড়ে থাকলে অথবা মাটির সঙ্গে মিশে গেলে নানা ধরনের দূষণ ছড়ায়। ওই ধরনের বর্জ্যে এমন সব ধাতু থাকে, যা পরিবেশ ও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। যে বেসরকারি সংস্থা বৈদ্যুতিন বর্জ্য সংগ্রহ এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলে, তাদের এক কর্তা বলেন, বিভিন্ন স্কুল থেকে মোট ছ’হাজার কেজির মতো বৈদ্যুতিন বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। কলকাতার স্কুলগুলি এই ব্যাপারে ধীরে ধীরে সচেতন হচ্ছে।