হাইড্রোজেন শিল্পে ক্রমেই উৎসাহ বাড়ছে অস্ট্রেলিয়াতে

হাইড্রোজেন শিল্পে ক্রমেই উৎসাহ বাড়ছে অস্ট্রেলিয়াতে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌।
Posted on ৩০ মার্চ, ২০২৩

গোটা ব্রহ্মাণ্ডে সবচেয়ে বেশি যে পরমাণুটা পাওয়া যাবে সেটা হাইড্রোজেন। সাথে লাগবে জল আর সূর্যের আলো। একটা জলাধারে সৌরবিদ্যুৎ চালনা করলেই তড়িৎবিশ্লেষণের মাধ্যমে মিলবে বিশুদ্ধ অক্সিজেন, তার সঙ্গে বিশুদ্ধ হাইড্রোজেনও। এমনকি একটা অক্সিজেন পরমাণু পেলে তার সাপেক্ষে দুটো করে হাইড্রোজেন পরমাণু উৎপন্ন হবে।
তাহলে লাগবে আর কী কী? – বিনিয়োগ আর উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট জায়গা। এই ছোট উদ্যোগ দ্রুত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে অস্ট্রেলিয়ার নানান অঞ্চলে। জলবায়ু সংকটের ফাঁড়া কাটাতে যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে।
হাইড্রোজেন উৎপাদনে অগ্রগণ্য দুটো শহর হল লন্সেসটন আর গ্ল্যাডস্টোন। কারণ তাদের পর্যাপ্তের চেয়ে বেশিই জমি আছে উৎপাদন ক্ষেত্র বানানোর জন্য।
লন্সেসটন বিমানবন্দর কান্ট্রিওয়াইড হাইড্রোজেন নামক সংস্থার সাথে অংশীদারি কারবারে নেমেছে। শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে এই জায়গাটা বাণিজ্যিক বিমান পরিবহনের সিংহদ্বার বলা চলে। বিমানপোতের অব্যবহৃত জমি ব্যবহার করা যায় কিনা তার জন্যে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চলছে। ৫ মেগাওয়াটের একটা সোলার প্যানেল, তড়িৎ বিশ্লেষণের জন্যে একটা প্ল্যান্ট আর বণ্টনের জন্য একটা নির্দিষ্ট কেন্দ্র – এগুলো আপাতত প্রয়োজন।
আবার গ্ল্যাডস্টোন একটা বন্দর-শহর। সেখানেও হাইড্রোজেন উৎপাদনের উৎসাহ ক্রমেই বাড়ছে। সিমেন্ট অস্ট্রেলিয়া আর মিৎসুবিশি গ্যাস কেমিক্যাল কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে গবেষণা চলছে কীভাবে সিমেন্ট উৎপাদনে বর্জ্য কার্বন ডাই-অক্সাইড আর গ্রিন হাইড্রোজেনের সাহায্যে মিথানল প্রস্তুত করা যায়। গ্ল্যাডস্টোন জেলা পর্ষদেরও পছন্দ হয়েছে এই পরিকল্পনাটা। তারা সামনের দশ বছরের জন্য অপ্রচলিত শক্তি ব্যবহারের একটা রূপরেখা তৈরি করেছে। সহযোগিতার আশ্বাস এলো অর্থনৈতিক উন্নতি নিয়ে কাজ করতে থাকা দ্য নেক্সট ইকনমি নামের একটা প্রতিষ্ঠান।