হাওয়া থেকে বিদ্যুৎ – শতাব্দীপ্রাচীন স্বপ্ন

হাওয়া থেকে বিদ্যুৎ – শতাব্দীপ্রাচীন স্বপ্ন

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২১ ডিসেম্বর, ২০২২

আগের শতাব্দীর শুরুর দিকে, সার্বিয়ান-আমেরিকান আবিষ্কারক নিকোলা টেসলা বাতাস থেকে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। শুধুই ভাবনা নয়, পরপর কয়েকটা পরীক্ষাও উনি করেন। বাতাস থেকে তড়িৎ আধান সংগ্রহ করে তাকে বিদ্যুৎ প্রবাহে পরিণত করতে চেয়েছিলেন টেসলা। কিন্তু স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।
টেসলার সময় থেকেই বিজ্ঞানীরা তড়িৎ সৃষ্টি আর মুক্ত হওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে আরও খানিকটা জেনেছেন। বহুদিন আগেই এটা আবিষ্কার হয়েছে যে, জলীয় বাষ্প তড়িৎ আধান বহন করতে পারে।
বায়ুমণ্ডলের প্রায় সব কোণাতেই জলীয় বাষ্পের গ্যাসীয় কণা উপস্থিত থাকে। এই জলের কণার মধ্যে থাকা স্থিরতড়িৎ সংগ্রহ করতে পারলে বাতাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। এই পদ্ধতিকে হাইগ্রোইলেকট্রিসিটি বলা হয়। একটা পর্তুগীজ স্টার্ট-আপ সংস্থা এই পদ্ধতিকেই ব্যবহার করছে। কোম্পানির মুখ্য কার্যনির্বাহী ডঃ স্বিতলানা ল্যুবচিক। উনি লিসবনের লুসোফোন ইউনিভার্সিটি অফ হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড টেকনোলজিসে রসায়নিক প্রযুক্তিবিদ হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলছেন, শক্তির নতুন উৎস হিসেবে এটা কিন্তু আগামী দিনে আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছে।
এই প্রকল্পে যে উপায় কাজে লাগছে সেটা কিন্তু টেসলার ভাবনার থেকে একেবারেই আলাদা। শক্ত কেলাসিত পদার্থ জারকোনিয়াম অক্সাইড দিয়ে নির্মিত প্যানেল-কোষের মাধ্যমে বাতাসের আর্দ্রতা শোষিত হয়। এই পদার্থ বর্তমানে মূলত দাঁত তোলার কাজে, ইলেকট্রনিক্স এবং গ্লাসের মতো পদার্থের উৎপাদনে প্রয়োজন হয়।