হাতির দাঁত নিয়ে কোন্দল আফ্রিকার দুই সরকারের!

হাতির দাঁত নিয়ে কোন্দল আফ্রিকার দুই সরকারের!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৮ মে, ২০২২

গোটা পৃথিবী জুড়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের আন্দোলন চলছে। সেখানে জিম্বাবোয়ের সরকারের আবেদন হাতির জনসংখ্যা কমাতে হবে! জিম্বাবোয়ের ওয়াঙ্গে শহরে চলছে এলিফ্যান্ট সামিট। আফ্রিকার সব দেশের সরকারি প্রতিনিধিরা এসেছেন। জিম্বাবোয়ের সরকারি প্রতিনিধি আবেদন করেছেন তাদের দেশে হাতির জনসংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গতবছর অভয়ারণ্য থেকে জল আর খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে হাতির আক্রমণে ৬০ জন মানুষ মারা গিয়েছেন। তাই হাতির জনসংখ্যা অবিলম্বে কমাতে হবে। কীভাবে সেটা সম্ভব? জিম্বাবোয়ে বলছে হাতির দাঁতের ব্যবসা আবার বৈধ করে দেওয়া হোক! ১৯৮৯-এ যা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল নিয়মিত হাতি নিধনে। উল্লেখযোগ্যভাবে হাতির সংখ্যা তখন কমে যাচ্ছিল। জিম্বাবোয়ের এই প্রস্তাবের প্রতিবাদ করে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আরও কয়েকটি দেশ জানিয়েছে হাতির জনসংখ্যা কমানোর জন্য তার দাঁতের ব্যবসাকে বৈধ ঘোষণা করা যাবে না। যাতে আবার চোরাকারবারিরা অবাধে হাতি মারতে পারে। তাতেও থামেনি জিম্বাবোয়ে! তাদের যুক্তি হাতির দাঁতের ব্যবসা করে অন্তত কয়েক লক্ষ মার্কিন ডলার আয় হতে পারে এবং সেই টাকায় জাতীয় অভয়ারণ্যগুলোর সংরক্ষণ হতে পারে! চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শেষপর্যন্ত হয়নি। পরের এলিফ্যান্ট সামিট পানামায় হওয়ার কথা এবছরের নভেম্বরে। দেখা যাক সেখানে কী সিদ্ধান্ত হয়। কে জেতে, মানুষের অসামাজিক কাজ না হাতির সংরক্ষণ!