
মানুষের নিকট আত্মীয়ের তালিকাটা ছোট নয়। হোমো নালেডি তাদেরই মধ্যে একটা প্রাচীন প্রজাতি। নিয়ন্ত্রিত আগুনের যথাযথ ব্যবহার তারাও হয়তো জানত। তবে সেটা মাটির নীচে ঘুটঘুটে অন্ধকার গুহার ভেতরে। কয়েকটা নতুন আবিষ্কারে তেমন সম্ভাবনাই প্রবল বলে মনে হচ্ছে গবেষকদের।
ছোট ছোট ফায়ারপ্লেস, ভুসোকালি মাখা দেওয়াল, মাথার উপর ছাদে কালো ছোপ ছোপ দাগ। দক্ষিণ আফ্রিকার রাইজিং স্টার গুহার মধ্যে এমনই নিদর্শন খুঁজে পেয়েছেন বিশেষজ্ঞ লি বার্জার। গত পয়লা ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে কার্নেগি ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্সে সেটা ঘোষণা করলেন প্রত্নজীবাশ্ম বিষয়ের গবেষক বার্জার।
বার্জার বলছেন, রাইজিং স্টার একটামাত্র গুহা নয়, বরং পরপর অনেকগুলো গুহা নিয়ে একটা গোটা সিস্টেম। সেখানেই প্রত্যেকটা জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে আগুন ব্যবহারের চিহ্ন। বার্জার জোহানেসবার্গে অবস্থিত উইটওয়াটারস্ট্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। আজ থেকে ৩৩৫০০০ বছর আর ২৬৩০০০ বছরের মধ্যে হোমো নালেডির সময়কাল ধরা হয়। কিন্তু এই প্রজাতির মগজের মাপ ছোট হওয়ায় এতদিন ভাবাই হয়নি যে তারা আগুনের পরিমিত ব্যবহার জানে। আধুনিক মানুষের মস্তিষ্কের তিনভাগের একভাগ নালেডির মস্তিষ্ক। তবুও তারা যে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে সেটা কাজে লাগাতে পারত, সেটা অবাক করেছে লি বার্জারকে।