২০২৩-য়ে কোভিডের মোকাবিলার উপায় কী হবে?

২০২৩-য়ে কোভিডের মোকাবিলার উপায় কী হবে?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৬ জানুয়ারী, ২০২৩

ভারত, অস্ট্রেলিয়া সহ বিশ্বের আরও কয়েকটা দেশ অতিমারির চতুর্থ বছরে পা রাখল। কড়াকড়ি নেই বললেই চলে। ব্যতিক্রম শুধু চীন থেকে আসা যাত্রীরা। তাদের জন্যে বিভিন্ন দেশে নিয়মের গেরোটা মোটামুটি একই ধাঁচের।
অস্ট্রেলিয়ায় কোভিডে আক্রান্ত মানুষদের গৃহবন্দী থাকার দরকার নেই। বেশির ভাগ প্রদেশেই মাস্ক আর সামাজিক দূরত্বের বালাইটুকুও নেই। ঐ দেশে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রেও কোন জরুরিকালীন ব্যস্ততা চোখে পড়ছে না। যদিও ভ্যাকসিনের প্রথম দুটো ডোজ নিয়েছেন নির্দেশিত জনসংখ্যার ৯৬%। কিন্তু বুস্টার ডোজ নেওয়ার উৎসাহ তেমন নেই।
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ৭২.৪% তালিকাভুক্ত মানুষ তৃতীয় ডোজ এবং ৪৪.২% চতুর্থ ডোজ নিয়েছেন। বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রবণতা বাড়লে কি হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা বা মৃত্যু কমবে? নাকি অন্য কোনও উপায় বাতলে দেবেন চিকিৎসকরা?
অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত স্ট্রেটন ইন্সটিটিউটের মহামারী-বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এমা মিলার জানালেন, বিষয়টা এখন বেশিটাই নির্ভর করে আছে জনস্বাস্থ্যের সাধারণ কর্তব্যের উপর। অর্থাৎ সোজা ভাষায়, জনগণের সচেতনতা। উনি সাবধান করছেন। ভ্যাকসিন গ্রহণের হার উপরের দিকে থাকলেও মাস্ক না-পরা আর সামাজিক দূরত্বের বিধি না-মানা কিন্তু কাল হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 10 =