![](https://bigyanbhash.org/wp-content/uploads/2021/12/black-hole-1024x576.jpg)
মাঝেমধ্যে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এমন সব বিষয় আবিষ্কার করে ফেলেন যে চমকে যায় সাধারণ মানুষ। তেমনই এক আবিষ্কার সম্প্রতি হয়েছে সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল বা অতি বিশাল কৃষ্ণগহ্বর খুঁজে পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তাও আবার একজোড়া। বলা হচ্ছে, পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে রয়েছে এই দু’টি কৃষ্ণগহ্বর। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই আবিষ্কার ইতিহাস বদলে দিতে পারে। সেই সঙ্গে সুস্পষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে ভবিষ্যতেও।
এই জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা খুব বড় স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছেন। এই স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি থাকা এই অতি বিশাল কৃষ্ণগহ্বর জোড়াকে
দেখা গিয়েছে। এর আগেও এমন কৃষ্ণগহ্বরের জোড়া বা নজরে এসেছে। তবে তাদের মধ্যে ব্যবধান এত কম ছিল না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই দুই গহ্বরের মধ্যে যে ক্ষুদ্র ব্যবধান রয়েছে, এর আগে এমনটা কখনও দেখা যায়নি। সম্ভবত এই দুটো কৃষ্ণ গহ্বর একসঙ্গে মিশেও যাবে আগামী দিনে, এমনটাই ধারণা করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
মহাকাশের সবচেয়ে রহস্যময় ক্ষেত্র হল ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর। বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় এই ব্ল্যাক হোল এলাকায় মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এতটাই তীব্র যে কোনও কিছু এমনকি আলোও এখান থেকে বাইরে যায় না, বা বলা ভাল যেতে পারে না। একটি ক্ষুদ্র বা সংকুচিত এলাকায় অনেক পরিমাণ পদার্থ চেপে রাখার ফলেই ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরে উচ্চ মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকে। আর সাধারণ মানুষ খালি চোখে কখনই ব্ল্যাক হোল দেখতে পাবেন না। কারণ এর মধ্যে দিয়ে আলোও প্রবেশ করতে বা যাতায়াত করতে পারে না। কিন্তু স্পেস টেলিস্কোপের বিশেষ যন্ত্রাংশের মাধ্যলে ব্ল্যাক হোল খুঁজে বার করা সম্ভব। সাধারণত মৃত নক্ষত্র দ্বারা তৈরি হয় এই ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর।