‘অন্ধকারময় শক্তি’র রহস্য নিয়েই চর্চা

‘অন্ধকারময় শক্তি’র রহস্য নিয়েই চর্চা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

অ্যালবার্ট আইনস্টাইন প্রমাণ করেছিলেন, মহাকাশে যে শূন্যতা দেখা যায় সেটা আসলে শূন্য নয়। সেই থেকে মহাকাশ বিজ্ঞান ও জ্যোর্তিবিজ্ঞানের অন্তহীন গবেষণা যে বিশ্বব্রহ্মান্ড কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল। গ্রহের বির্বতন সম্পর্কে অনেক কিছু মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জেনেছেন। কিন্তু এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের উৎস অনুসন্ধান করা এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ এই যে কিসের শক্তিতে চলছে এই বিশ্বব্রহ্মান্ড, সেই বিষয়ে মহাকাশবিজ্ঞানীরা আঁধারেই ছিলেন।
কিন্তু সম্প্রতি, অন্তহীন গবেষণা তাঁদের একটা বিষয়ে আলোকিত করেছে। যে বিষয়টিকে কসমোলজিস্টরা বলছেন অনন্য এক ঘটনা। তাঁরা অনন্য এক শক্তির কথা জানতে পেরেছেন। যে শক্তি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিশ্বব্রহ্মান্ডকে! কসমোলজিস্টরা অনুমান করছেন, এই ‘অনন্য শক্তি’ মহাকাশে থেকে গিয়েছিল ‘বিগ ব্যাং’ হওয়ার পর। মানে বিস্ফোরণের ৩ লক্ষ বছর পর। অনন্য এই শক্তি, যাকে বিজ্ঞানীরা বলছেন ‘অন্ধকারময় শক্তি’, যার উপাদান চিলির আটাকামা কসমোলজি টেলিস্কোপ থেকে দেখা গিয়েছে বলে দাবি কসমোলজিস্টদের। উপাদানটি বিজ্ঞানীরা সংগ্রহ করেছিলেন ২০১৩ থেকে ২০১৬-র মধ্যে। বিজ্ঞানীদের দাবি ছিল অন্ধকারময় এই শক্তি বিশ্বব্রহ্মান্ডের প্রাচীনকালের অবস্থা সম্পর্কে জানা যেতে পারে। যদিও বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হতে পারেন নি যে, এই তথ্যটি বিশ্বব্রহ্মান্ড সম্পর্কে সমস্ত কিছু বলে দেবে।
অনেক আগে ভাবা হত, বিশ্বব্রহ্মান্ডের বৃদ্ধি হচ্ছে, কিন্তু খুব ধীর গতিতে। বিজ্ঞানীরা ভাবতেন, মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্যই বৃদ্ধিটা ধীর গতিতে হচ্ছে। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁদের গবেষণা জানিয়েছে, বিশ্বব্রহ্মান্ডের এই আকারের ক্রমশ বৃদ্ধি হওয়া আদৌ ধীর গতিতে নয়, দ্রুতই হচ্ছে। আর তার নেপথ্যে রয়েছে ‘অন্ধকারময় অনন্য শক্তির’ ভূমিকা। তারপরেও, অন্ধকারময় এই শক্তি কিন্তু বিজ্ঞানীদের কাছে এক রহস্য। বিশ্বব্রহ্মান্ডে এই শক্তির অস্তিত্ব ৬৮ শতাংশ বলার পরও বিজ্ঞানীরা এখনও বুঝতে পারেননি এই অনন্য শক্তি কীভাবে বিশ্বব্রহ্মান্ডকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে!