অবশেষে অ্যান্টার্কটিকায় সূর্যোদয় হল। প্রায় পাঁচমাস পর! পাঁচ মাস ধরে ২৪ ঘন্টার অন্ধকার কাটিয়ে এই বরফাবৃত অঞ্চলে সূর্যের দেখা মিলল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে গবেষণাকেন্দ্র তৈরি করা আছে। কিন্তু হলে কী হবে! রাতের অন্ধকারে গবেষকরা কাজ করবেন কীভাবে? চরম ঠান্ডা এবং অন্ধকারে হাত গুটিয়ে বসে থাকা ছাড়া তাঁদের উপায়ও ছিল না। সূর্যোদয়কে তাঁরা স্বাগত জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে এও জানিয়েছেন যে আগামী নভেম্বর মাস থেকে অ্যান্টার্কটিকা একটু একটু করে গরম হতে শুরু করবে। তখন তাঁরাও গবেষণা করতে পারবেন পুরোদমে। আরও গুরুত্বপূর্ণ, তুষারঘেরা অ্যান্টার্কটিকায় গবেষণাকেন্দ্রগুলির যন্ত্রপাতিও অকেজো হয়ে গিয়েছে। বিমান নামার রানওয়েও বরফে মুড়ে গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের আশা, নভেম্বরের পর অ্যান্টার্কটিকায় আবার বিমান নামতে পারবে। তখন গবেষণার কাজে আসতে পারবেন গবেষকরা। অ্যান্টার্কটিকায় বছরে দু’বার গ্রীষ্ম, আর বাকি সময়টা শুধুই প্রবল শীত। এখানকার ন্যুনতম তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে! আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখনও পর্যন্ত দেখা গিয়েছে মাইনাস ৮৯ ডিগ্রি! সূর্যের চারপাশে ঘোরা পৃথিবীর কাত হয়ে থাকার ওপর নির্ভর করে অ্যান্টার্কটিকার দিন আর রাতের হিসেব। শীতে সূর্যের সঙ্গে পৃথিবীর অক্ষরেখা এমনভাবে কাত হয়ে থাকে যে অ্যান্টার্কটিকায় ছ’মাস ধরে অন্ধকার থাকে!