![](https://bigyanbhash.org/wp-content/uploads/2021/09/pollen.jpg)
অ্যালার্জি এবং তা থেকে হাঁপানির মতো রোগ, ভারতে ভীষণ প্রচলিত। প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হন অ্যালার্জি-জনিত নানারকমের গুরুতর অসুখে। ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির তরফে সোমবার জানানো হল, অ্যালার্জির প্রতিষেধক রয়েছে চণ্ডীগড়ে! সেটি হল পরাগ ক্যালেন্ডার। পরাগ ক্যালেন্ডারের সহায়তায় চিকিৎসকদের সুবিধে হবে অ্যালার্জি রোগীর অসুখের উৎস খুঁজতে। চিকিৎসকরা বলেন, বায়ুবাহিত অ্যালার্জি বহনকারী উপাদানগুলোর মধ্যে পরাগ অন্যতম। তার থেকেই রাইনিটিস, হাঁপানি বা ডার্মাইটিসের মতো কঠিন অসুখগুলো হয়। তাই সারাবছরের মধ্যে পরাগ কোন সময় হাওয়ার মধ্যে বেশি ঘুরে বেড়ায় সেটা চিহ্নিত করার জন্যই পরাগ ক্যালেন্ডার। গবেষকরা জানিয়েছেন উদ্ভিদ থেকেই পরাগ হাওয়ায় ঘুরে বেড়ায়। চণ্ডীগড়ের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ এবং জনস্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, পরাগ ক্যালেন্ডারটি সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলগুলির মাধ্যমে সমস্ত রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। যাতে নাগরিকরা জানতে পারেন পরাগ ক্যালেন্ডার দেখে যে কোন সময় হাওয়ায় পরাগের পরিমাণ বেশি থাকবে আর তখন তাঁরা প্রতিরোধক পোষাক ব্যবহার করতে পারবেন ঘরের বাইরে বেরনোর সময়।
এখনও পর্যন্ত এই ক্যালেন্ডার জানাচ্ছে, শরৎ এবং বসন্তকালে হাওয়ায় পরাগের পরিমাণ বেশি থাকে। ওই সময়েই মাটিতে পরাগের বীজ বিকশিত হয়। গবেষকরা বলছেন, ক্যালেন্ডারটি থাকার সুবিধে শুধু নাগরিকরা পাবেন না, চিকিৎসকরাও পাবেন। তাঁরাও ক্যালেন্ডার দেখে বুঝতে পারবেন অ্যালার্জিতে আক্রান্ত রোগীর অসুস্থতার উৎস, এমনকী ওই সময়টায় হাওয়ার চরিত্রেরও বদল ঘটে। সেটাও পরাগ ক্যালেন্ডার বুঝতে সহায়তা করবে চিকিৎসকদের এবং বিজ্ঞানীদেরও।