দু’হাজার বছর আগের একটি ক্রীতদাসদের ঘর আবিষ্কার করলেন প্রত্নতাত্বিকরা! রোমান সাম্রাজ্যের সময়ের। ছোট্ট ঘরটি থেকে পাওয়া গিয়েছে তিনটে বিছানা, একটি মাটির পাত্র আর একটা কাঠের বুক! ইতালির সিভিতা জিউলিয়ানা নামের এক গ্রামীণ শহরের মাটি খুঁড়ে এই আবিষ্কার করেছেন পম্পেইয়ের প্রত্নতাত্বিকরা। এই গ্রামীণ শহরটিও পম্পেই শহরের গায়েই অবস্থিত। প্রত্নতাত্বিকরা জানিয়েছেন, ২০০০ বছর আগে ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ওই গ্রাম এবং বাড়ি ঘর। ওই ঘরের কাছেই, বাড়ির ভেতর থেকে এবছরের গোড়ায় প্রত্নতাত্বিকরা মাটি খুঁড়ে পেয়েছিলেন অলঙ্কৃত একটি রোমান রথ! তারপর এই ঘর আবিষ্কারের পর প্রত্নতাত্বিকরা মনে করছেন ঘরটি ছিল ক্রীতদাসদের যারা রথ এবং ঘোড়াগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণ করত। পম্পেইয়ের এই ঘর আবিষ্কার হওয়ার পর পম্পেই প্রত্নতত্ব বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, আবিষ্কার থেকে বোঝা যায় সেই সময়ের দরিদ্র বা নিম্নবিত্ত মানুষের অবস্থার কথা, যখন সমাজে আধিপত্য ছিল মূলত ‘এলিট’দের, মানে তথাকথিত ধনী বা সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষদের। সেই সময় সাধারণত গরিব এবং নীচু জাতের মানুষদেরই ক্রীতদাস করে রাখা হত।
ঘরটির মাপ ছিল ১৭০ বর্গ ফুট। তিনটে বিছানা ছাড়াও পাওয়া গিয়েছে দড়ির একাধিক ক্যাম্প খাট যাদের ওপর দেওয়া থাকত চাদর। শিশুদের জন্য তৈরি করা খাটের ধ্বংসাবশেষও পাওয়া গিয়েছে। ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে পম্পেই শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে মাটির নিচে চলে গিয়েছিল ৭৯ এডি-তে। যারা পালাতে পারেননি শহর ছেড়ে তারা ভূমিকম্পে মারা গিয়েছিলেন।
প্রত্নতাত্বিকরা শুধু বিস্মিত হয়ে গিয়েছেন যে, প্রাচীন এই ধ্বংসাবশেষের অনেককিছু এত বছর পরেও কীভাবে অটুট রয়েছে!