আরও বিপদের সামনে শিশুরা

আরও বিপদের সামনে শিশুরা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৭ আগষ্ট, ২০২১

কোভিড-১৯-এর ধাক্কাতেই কুপোকাৎ বর্তমান বিশ্ব। যাবতীয় টীকা তৈরি করা এবং সেটা বিশ্বজুড়ে সরবরাহ করা-সবই করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়ান্টকে প্রতিরোধ করার কথা ভেবে। কিন্তু অন্য টীকাগুলোর কী হবে? বহুবছর ধরে বিশ্বজুড়ে যে রুটিন টীকা দেওয়া হয়ে আসছে। মারাত্মক ছোঁয়াচে যে অন্যান্য অসুখগুলো রয়েছে তাদের প্রতিরোধের যে টীকা প্রত্যেক বছর দেওয়া হচ্ছে সেগুলো তো গতবছর থেকে বন্ধ! হামের টীকা, ডিপথিরিয়া, টিউবারকিউলোসিস আর হুপিং কাশি প্রতিরোধে তৈরি হওয়া ডিটিপি টীকা-সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে ২০২০ থেকে করোনার ধাক্কায়! গবেষণা বলছে, বিশ্বজুড়ে শিশুর সামনে জীবনমরণ সমস্যা! কারণ প্রত্যেকটি রোগই ভীষণ ছোঁয়াচে, করোনার মতই সংক্রামক! গবেষণা থেকেই জানা গিয়েছে, ২০২০-তে বিশ্বজুড়ে ৯০ লক্ষ শিশু নিতে পারেনি হামের প্রথম ডোজ! ডিটিপি শট নিতে পারে নি ৮৫ লক্ষ শিশু! গবেষকরা জানাচ্ছেন খবরটা অপ্রত্যাশিত নয়! কারণ, ২০২০-তে করোনার দাপট শুরু হওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) কিন্তু সতর্ক করেছিল দেশগুলোকে। তারা বলেছিল, কোভিডের জন্য শিশুদের রুটিন ভ্যাকসিনগুলোয় কিন্তু বাধা পড়তে পারে। সেই সতর্কবাণী আজ সত্যি হয়ে এসেছে। নিউ ইয়র্কের শিশু চিকিৎসক সুজেটি ওকেউর আক্ষেপ, “কোভিডে আমরা ৪০ লক্ষের বেশি মানুষ হারিয়েছি। ভ্যাকসিন না দিতে পেরে আরও কত শিশু আমরা হারাব?”
করোনা না এলে ২০২০-তে ডিটিপি ভ্যাকসিন নিতে পারত ৮৩.৩ শতাংশ শিশু, হামের টীকা দেওয়া যেত অন্তত ৮৫.৯ শতাংশ শিশু। সেখানে ২০২০-তে ডিটিপি টীকা দেওয়া গিয়েছে ৭৬.৭ শতাংশ শিশুকে! আর হামের টীকা পেয়েছে ৭৮.৯ শতাংশ। গবেষণা জানাচ্ছে ২০০৮-এর পর থেকে গত ১৩ বছরে শিশুদের টীকাকরণ এত কম এই প্রথমবার! ভারতে ডিটিপি টীকা ২০১৯-এ দেওয়া যায়নি ১৪ লক্ষ ৩ হাজার শিশুকে। গত বছর সেই সংখ্যাটা পৌঁছেছে ৩ লক্ষ ৩৮ হাজারে!