আর্কটিকে বরফ জমছে না!

আর্কটিকে বরফ জমছে না!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

৪২০ ফুটের একটা বিশাল ‘আইস ব্রেকার’। তার নাম হিলি। মেরু অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সে জমা বরফ ভেঙে পরিষ্কার করে আসছে। আর্কটিকে জমা বরফ মানে, বরফের পাথর! সেই হিলি আইসব্রেকার সম্প্রতি আর্কটিকে, বাফিন বে-র মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। বাফিন দ্বীপপুঞ্জ আর পশ্চিম
গ্রীনল্যান্ডের মধ্যে অবস্থিত বাফিন বে। যিনি হিলিকে চালান সেই ইঞ্জিনিয়ার মার্ক হুলেন জানিয়েছেন তিনি ভাবতে পারেননি এত সহজে, এত তাড়াতাড়ি এবার বাফিন বে দিয়ে তার আইসব্রেকার চলে যাবে! শুধু একটা ঘটনা নয়, সম্প্রতি, আইসব্রেকার চালিয়ে হুলেন আর্কটিকের উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে সিয়াটেল থেকে বাল্টিমোর গিয়েছিলেন। কিন্তু ভীষণ হতাশ তিনি। গোটা রাস্তায় একটা বরফের চাঁইও দেখা যায়নি! সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন হুলেন, বরফের এত পাতলা স্তর তিনি বহুবছর দেখেননি আর্কটিকে। জাতীয় স্নো এবং আইস ডাটা সেন্টার যে তথ্য দিয়েছে তাতে জানা গিয়েছে, গত ১৫ বছরে আর্কটিক এত উষ্ণ হয়নি। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন আর্কটিকের এই উষ্ণতার প্রভাব কিন্তু ভীষণভাবে পড়বে উত্তর আমেরিকা এবং এশিয়ায়। উষ্ণ তাপপ্রবাহ চলবে, গ্রীষ্মকালে আগের চেয়ে তাপমাত্রা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যাবে। সর্বোপরি, আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অদূর ভবিষ্যতে উত্তর আমেরিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশের আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি আগে থেকে বোঝা যাবে না, ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ হয়ে পড়বে। গবেষকরাও বলছেন, সম্প্রতি ভারতের উত্তরে, মধ্য ভারতে যে কয়েকবার তাপপ্রবাহ চলেছে সেটা আর্কটিকে বরফ গলে জল হয়ে যাওয়ার প্রভাব।

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা। ৩০ সেপ্টেম্বর

৪২০ ফুটের একটা বিশাল ‘আইস ব্রেকার’। তার নাম হিলি। মেরু অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সে জমা বরফ ভেঙে পরিষ্কার করে আসছে। আর্কটিকে জমা বরফ মানে, বরফের পাথর! সেই হিলি আইসব্রেকার সম্প্রতি আর্কটিকে, বাফিন বে-র মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। বাফিন দ্বীপপুঞ্জ আর পশ্চিম
গ্রীনল্যান্ডের মধ্যে অবস্থিত বাফিন বে। যিনি হিলিকে চালান সেই ইঞ্জিনিয়ার মার্ক হুলেন জানিয়েছেন তিনি ভাবতে পারেননি এত সহজে, এত তাড়াতাড়ি এবার বাফিন বে দিয়ে তার আইসব্রেকার চলে যাবে! শুধু একটা ঘটনা নয়, সম্প্রতি, আইসব্রেকার চালিয়ে হুলেন আর্কটিকের উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে সিয়াটেল থেকে বাল্টিমোর গিয়েছিলেন। কিন্তু ভীষণ হতাশ তিনি। গোটা রাস্তায় একটা বরফের চাঁইও দেখা যায়নি! সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন হুলেন, বরফের এত পাতলা স্তর তিনি বহুবছর দেখেননি আর্কটিকে। জাতীয় স্নো এবং আইস ডাটা সেন্টার যে তথ্য দিয়েছে তাতে জানা গিয়েছে, গত ১৫ বছরে আর্কটিক এত উষ্ণ হয়নি। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন আর্কটিকের এই উষ্ণতার প্রভাব কিন্তু ভীষণভাবে পড়বে উত্তর আমেরিকা এবং এশিয়ায়। উষ্ণ তাপপ্রবাহ চলবে, গ্রীষ্মকালে আগের চেয়ে তাপমাত্রা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যাবে। সর্বোপরি, আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অদূর ভবিষ্যতে উত্তর আমেরিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশের আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি আগে থেকে বোঝা যাবে না, ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ হয়ে পড়বে। গবেষকরাও বলছেন, সম্প্রতি ভারতের উত্তরে, মধ্য ভারতে যে কয়েকবার তাপপ্রবাহ চলেছে সেটা আর্কটিকে বরফ গলে জল হয়ে যাওয়ার প্রভাব।