উদ্ভিদদেহে জৈবনিক ঘড়ির খোঁজ

উদ্ভিদদেহে জৈবনিক ঘড়ির খোঁজ

Posted on ৯ এপ্রিল, ২০১৯

গত ১০ই ডিসেম্বর, ২০১৭-য় জেফরি সি. হল, মিচেল রসবাশ এবং মিচেল ডব্লু. ইয়ং ঔষধবিজ্ঞান এবং শারীরবিদ্যা বিভাগে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন জৈবনিক ঘড়ি আবিষ্কারের জন্য। জৈবিক ছন্দ নিয়ন্ত্রণকারী আণবিক পদ্ধতি খুঁজে পান তাঁরা। বিলফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ কীভাবে ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’ আবিষ্কার করেন, তার বিশদ বিবরণ পাওয়া যায় ‘রিসার্চ টিভি’র প্রতিবেদনে। বিলফিল্ডের জীবরসায়নবিদ ডঃ ডরোথি স্টাইগার ব্যাখ্যা করেন প্রকৃতপক্ষে কী খুঁজে পেয়েছেন নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত তিন বিজ্ঞানী।

ডঃ ডরোথির মতে নোবেল প্রাইজ পাওয়াটা স্রেফ ছিল সময়ের অপেক্ষা। প্রকৃতির মৌলিক ধারণা অনুসন্ধানের জন্যই তাঁদের এই নোবেলপ্রাপ্তি।

তাঁদের আমেরিকান সহকর্মীরা যদিও আগেই প্রাণীদেহে এই জৈবনিক ঘড়ি খুঁজে পেয়েছিলেন। স্টাইগারের ‘আর এন এ বায়োলজি এবং মলিকিউলার ফিজিওলজি’ নামক গবেষক দল উদ্ভিদদেহে এই জৈবিক ছন্দময়তা নিয়ে কাজ করছেন। হল, রসবাশ এবং ইয়ং – এই তিন জন বিজ্ঞানী যখন প্রথম ‘বায়োলজিকাল ক্লক’ হিসাবে প্রোটিনের উল্লেখ করছেন, তখনই প্রায় একইসাথে স্টাইগারের দল গাছের দেহে কার্যকরী নতুন এক প্রোটিনের খোঁজ পান। যদিও এটি একটি কিঞ্চিৎ নির্ভরশীল মাধ্যমে কাজ করে, তাই এদের ‘সহায়ক জৈবনিক ঘড়ি’ হয়তো বলা চলে। এবং এটিই প্রথম সহায়ক ঘড়ি যা কিনা আণবিক পর্যায়ে কার্যশীল। স্টাইগারের গবেষক দল এই অভিনব প্রোটিনের নতুন নিয়ন্ত্রক পদ্ধতিগুলি জানতে পেরছেন। ডঃ কাতজা ম্যের এবং ডঃ টিনো কোস্তার এক ধরণের গণনা চালিয়ে, সহায়ক প্রোটিন বেষ্টিত বার্তাবাহী আর এন এ গুলি তাঁরা পৃথক করেছেন।

মার্টিন লেওইন্সকি ( স্টাইগারের দলের একজন বিজ্ঞানী), ডঃ ইভো গ্রোবের সাথে কাজ করেন মার্টিন লুথার বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁরা বায়োইনফরমেটিক্সের সাহায্যে খুঁজে পেয়েছেন সহায়ক প্রোটিন ও বার্তাবাহী আর এন এ-র আন্তঃক্রিয়া।

সহায়ক প্রোটিন ঘড়ির সাথে বার্তাবাহক আর এন এ-র ক্রিয়াতেই এই জৈবনিক ঘড়ি সচল থাকে, জানিয়েছেন স্টাইগার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × five =