শুধু আল্পস নয়। শুধু সুমেরু বা কুমেরুর হিমবাহ নয়, উষ্ণায়নে চরিত্র বদলাচ্ছে হিমালয়ের হিমবাহও! বিজ্ঞানীরা বলছেন শুধু উষ্ণায়ন নয়, টেকটনিক মুভমেন্টের কারণেও হিমালয়ের হিমবাহের গতিপথের এই পরিবর্তন। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের একটি দল উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলার ওপর কালি গঙ্গা উপত্যকায় একটি হিমবাহের ওপর গবেষণা চালিয়েছিলেন। লক্ষ করেছেন আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং টেকটনিক মুভমেন্টের কারণে হিমবাহটি তার গতিপথ বদলে ফেলেছে। বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ, এবছর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে চামোলির পার্বত্য অঞ্চলে যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছিল তার নেপথ্যের নায়ক কালি গঙ্গা উপত্যকার ওই হিমবাহের গতিপথের পরিবর্তন। চামোলির প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রায় ২০০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন! ভয়ঙ্কর এক ভূমিধ্বস হয়েছিল। তার ফলে সৃষ্টি হয় বিশাল পরিমাণ কাদা এবং তার সঙ্গে ধ্বংসলীলা। এমনই এক শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়েছিল যা ২০ হেক্টর বনভূমিকে একবারে সমতল বানিয়ে দিয়েছিল! দেরাদূনের ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজির বিজ্ঞানীদের এই পর্যবেক্ষণের কথা প্রকাশিত হয়েছে জিওসায়েন্স জার্নালে। সেখানে দেখানো হয়েছে হিমালয় ভীষণ সক্রিয় এক পর্বতশ্রেণী এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই পর্বতশ্রেণী ভেতরে ভেতরে খুবই ভঙ্গুর! টেকটনিক মুভমেন্ট এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন, মানে এককথায় উষ্ণায়নের গভীর প্রভাব এই পর্বতশ্রেণীর ওপর পড়ে। গবেষণা জানিয়েছে, কালি গঙ্গা উপত্যকার উত্তর-পূর্বের প্রায় চার কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে এই নামহীন হিমবাহ আচমকাই তার গতিপথ বদলে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছে। তারই প্রতিফলনে ওই মহাদুর্যোগ!