২৭ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনের সংক্রমণ লেখচিত্র বিশ্লেষণ করা হয়েছে সমীক্ষায়। সেখানে প্রায় ২৮ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, অন্তত ৩৫,৬৭০ জনের দেহে দ্বিতীয় বা তার বেশি বার সংক্রমণের কারণ হয়েছে ওমিক্রন। তবে ওই রিপোর্টটি এখনও পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা করা হয়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকার ‘ডিএসআই-এনআরএফ সেন্টার অব এক্সিলেন্স ইন এপিডেমিওলজিকাল মডেলিং অ্যান্ড অ্যানালাইসিস’-এর সমীক্ষা জানিয়েছে, করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের অনেকের দেহেই সাম্প্রতিক কালে ওমিক্রন সংক্রমণ ঘটেছে।
তবে আক্রান্ত সেই ব্যক্তিদের কত জন করোনা টিকা নিয়েছিলেন, সে বিষয়ে তথ্য এখনও বিশ্লেষণ করা হয়নি। ফলে টিকার প্রতিরোধ এড়াতে ওমিক্রন কতটা সক্ষম, সে বিষয়টি এখনও মূল্যায়ন করা যায়নি। জুলিয়াম জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজ চলছে। প্রথম সংক্রমণের ক্ষেত্রে ডেল্টা রূপের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি বলেও দাবি করেছেন তিনি।
ওই রিপোর্টে যা-ই দাবি করা হোক, বিশেষজ্ঞদের একাংশও বলছেন, ওমিক্রন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো যথেষ্ট তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি। গবেষণা চলছে। ফলে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তবে সচেতনতা জরুরি।