গবেষণাগারে তৈরি মস্তিষ্কও

গবেষণাগারে তৈরি মস্তিষ্কও

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৯ আগষ্ট, ২০২১

মানুষের মস্তিস্ক পরীক্ষাগারে কৃত্তিম ভাবে বানানো কি সম্ভব? এতদিন সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি এমন কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন জার্মানির ‘ডুসেলডর্ফ ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল’ এর একদল গবেষক। পরীক্ষাগারে পেট্রি ডিসের মধ্যে পূর্ণঅবয়ব চোখ যুক্ত কৃত্তিম ক্ষুদ্র মস্তিস্ক তৈরি করে ফেলেছেন তাঁরা। মস্তিস্কের প্রাকাবস্থা গঠনের পর দেখা যায় সামনের দিকে দুপাশে অপটিক কাপ চোখের অস্তিত্বকে বুঝিয়ে দিচ্ছে। ভ্রূণ বৃদ্ধির সময়ে মস্তিকের সঙ্গে চোখের রেটিনা সংক্রান্ত সাধারণ অসুখ, বুঝতে সাহায্য করছে এই আবিস্কার। যা চোখ প্রতিস্থাপনেও অগ্রগতি আনবে। তাছাড়াও এই আবিষ্কার মানুষের চোখের গঠন ও বিকাশ অনেক সূক্ষ্ম ও গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করছে বিজ্ঞানীদের। এতদিন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা কৃত্তিম ভাবে পরীক্ষাগারে চোখ তৈরি করে, মানব চোখের গঠনের জটিল প্রক্রিয়াকে বোঝার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ‘ডাফেলবার্গ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির’ গোপালাকৃষ্ণন এবং তাঁর দল পৃথক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টিকে দেখার চেষ্টা করলেন। এই আবিষ্কার বিজ্ঞানকে বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে দিল বলেই মনে করছেন অনেকে।
তবে একটা বিষয় মনে রাখার, এই কৃত্তিম মস্তিস্ক কিন্তু সাধারণ মানুষের মস্তিস্কের মতো চিন্তা করতে পারবে না। কেবল মস্তিকের বিভিন্ন সেল-টিস্যু গুলিকে পরীক্ষার কাজে সহজেই ব্যবহার করা যাবে। গবেষক দল মনে করছেন, আপাতত তাদের গবেষণা প্রায় ৭০ শতাংশ সফল। গবেষকদের দাবি, তাঁদের এই আবিষ্কারে রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করার প্রাথমিক পর্ব থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণগুলি চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে। এমনকি রেটিনা টিস্যু প্রতিস্থাপন করাও সম্ভব হতে পারে।