গ্লাসগোয় ক্লাইমেট সামিটে যখন বিশ্বের ওজনদার রাষ্ট্রপ্রধানরা উষ্ণায়ন প্রতিরোধে নানারকমের সমাধানের ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন, তিনি কিন্তু পুরনো মেজাজেই! বরাবর যা করে আসছিলেন ঠিক সেভাবেই, রবিবার থেকে সম্মেলনের বাইরে তার অজস্র অনুরাগীকে নিয়ে পথে বসে বসে পড়েছেন! তিনি গ্রেটা থুনবার্গ। এই মুহুর্তে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সুইডেনের যে অসম সাহসী অষ্টাদশী ক্লাইমেট অ্যাক্টিভিস্টের মারাত্মক চাপ রাষ্ট্রপ্রধানদের বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে ভাবতে বাধ্য করার অন্যতম কারণ!
রবিবার থেকে শুরুর হওয়া ক্লাইমেট সামিটে রাষ্ট্রপ্রধানরা নানারকমের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যার মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অঙ্গীকার ২০৭০-এর মধ্যে ভারতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা হবে!
গ্রেটার প্রতিবাদ, সমস্তটাই মিথ্যে প্রতিশ্রুতি! বলেছেন, “সামিটের ভেতর রয়েছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতারা আর প্রবল ক্ষমতাসম্পন্ন কিছু মানুষ। তারা আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুধু খেলছে! ওখানে কিছুই হওয়ার নয়। ওখান থেকে কোনও পরিবর্তনই হবে না। আর কোনও ব্লা…ব্লা…শুনতে চাই না। প্রকৃতিকে আর শোষণ করা যাবে না। মানুষকে আর শোষণ করা যাবে না। আমরা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।”
শুনতে শুনতে ক্লান্ত সাধারণ মানুষও হয়ে পড়েছেন। কিন্তু গ্রেটার মত বলতে হয়ত সকলে পারেন না। তাই গ্রেটা এখন সাধারণ মানুষের ‘মুখ’ হয়েছেন। গ্লাসগোয় তার প্রতিবাদ রাষ্ট্রপ্রধানদের কতটা উদ্যোগী করতে পারে উষ্ণায়ন কমানোর ক্ষেত্রে সেটাই এখন দেখার।