পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন দেশ যেভাবে কয়লার মত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়ে চলেছে, পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, ২০৫০-এ-ও বিশ্বের উষ্ণায়ন কমানো সম্ভব হবে না। তার মধ্যেই পরিবেশ বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন, চরম উষ্ণতাতেও যাতে খাদ্যশষ্যের উৎপাদন স্বাভাবিক থাকে। এরই প্রতিফলনে আমেরিকার বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন বিশেষ এক ধরণের আলু। নাম দিয়েছেন ‘সুপার পটেটো’।
তৈরি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। অতিরিক্ত তাপমাত্রাতেও এই আলুর চাষ করা যাবে, উৎপাদন করা যাবে। জলবায়ুর পরিবর্তনেও এই ধরণের আলুর গুণমানের পরিবর্তন হবে না। খাদ্যশষ্য বিজ্ঞানী গ্রেগরি পোর্টার জানিয়েছেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, বন্যা আলু উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রতিকূল। কোনওভাবে তার মধ্যেও আলু উৎপাদন হয়ত করা যাবে কিন্তু সেই আলু খাওয়া কঠিন, কারণ গুণমানে সেই আলু অতি নিম্নমানের হবে। তাই চরম আবহাওয়ার মধ্যেও যদি মানুষের খাওয়ার উপযোগী আলু ফলাতে হয় তাহলে এরকম বিশেষ ধরণের আলুর চাষ করতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই সুপার পটেটো তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশে সুপার পটেটো তৈরি করা নিয়ে গবেষণা চলছে। ভার্জিনিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, ফ্লোরিডায় ইতিমধ্যে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ফলানো হয়েছে এই বিশেষ জাতের আলু। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এই বিশেষ ধরণের আলু পাওয়া যাবে আরও পাঁচ বছর পর।