![](https://bigyanbhash.org/wp-content/uploads/2021/09/WhatsApp-Image-2021-09-08-at-16.29.23-1024x576.jpeg)
২০২০-তে কোভিড-১৯ মানবসভ্যতায় প্রবেশ করার পর থেকে এই আলোচনা বহুবার বিজ্ঞানীরা এবং চিকিৎসকরা করেছেন। সাধারণ মানুষও এখন বিজ্ঞের মতো বলে থাকেন, করোনা ভাইরাসের বিবর্তন প্রতিনিয়ত হয়। সে তার রূপ নিয়মিত বদলাতে থাকে। সম্প্রতি গবেষকরা এবং এই ভাইরাস নিয়ে চর্চা করা বিজ্ঞানীরা আবার জানালেন যে চিনের উহানে ২০১৯-এ যে ভাইরাস করোনা রূপে প্রকাশিত হয়ে সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল, ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট, সেই একই ভাইরাসের বিবর্তনের প্রতিফলন, তার চেয়ে অনেক দ্রুতগামী। ডেল্টা মানুষের শরীরে প্রবেশও অনেক তাড়াতাড়ি করতে পারে। ডেল্টাকে কীভাবে সামলানো হবে সেই নিয়ে সরকার, ডাক্তার, বিজ্ঞানী বা গবেষকদের রাতের ঘুম চলে যাওয়ার অবস্থা। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, ডেল্টাতেই শেষ নয়। বিবর্তনবাদের প্রক্রিয়া ধরে এই ভাইরাস আবার তার রূপ বদলাবে। বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ, জিনের এলোমেলো মিউটেশনেই ভাইরাস পুর্নগঠিত হয়। তখন সে তার চরিত্র আবার বদলে ফেলে। জিনের এলোমেলো মিউটেশন যত বেশি হবে ভাইরাসের পুণর্গঠনের সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে। তখন সেই ভাইরাস আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। সেই নতুন ভাইরাস মানুষের শরীরে আরও দ্রুত প্রবেশ করতে পারে। সবচেয়ে আশঙ্কার কথা, বিজ্ঞানীদের মনে হচ্ছে জিনের অসংঠিত মিউটেশনের ফলে যে নতুন ভাইরাস তৈরি হবে সেটা পরের প্রজন্মকেও সংক্রামিত করতে পারে!
সবকিছু মিলিয়ে আগামী দিনের জন্য যথেষ্টই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই মারণ ভাইরাস।