প্রাণীটির দৈর্ঘ্য বড়জোর ৩ ইঞ্চি। মাটির অন্তত ৬০ মিটার নীচে ঘোর অন্ধকারের মধ্যে তার বাস। মাথাটা শাঁখের মত। মুখটা চঞ্চুর আকৃতির। বিজ্ঞানীদের ঘোর কাটেনি প্রাণীটিকে দেখে। বলা হচ্ছে এই প্রাণী বিবর্তনের বিস্ময়। কারণ তার পায়ের সংখ্যা ১ হাজার ৩০৬! সন্ধিপদী অর্থাৎ আর্থ্রোপড এই প্রাণী মিলিপড গোত্রের। শব্দটির অর্থ হাজার পা হলেও এত বছর পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের দেখা সর্বোচ্চ পা ইলাকম প্লেনিপসের, ৭৫০টি। ইউমিলিপস পার্সেফোন নামের এই নতুন প্রাণী আবিষ্কারের পর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই হাজারের বেশি পা থাকা প্রাণীরই পায়ের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গবেষকদের মতে মাটির নীচে ফাটল ধরলে তার মধ্যে দিয়েও চলার জন্যই মূলত এত পা। তাই বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে প্রাণীর পায়ের সংখ্যা বেড়েছে। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, এদে দৃষ্টিশক্তি নেই। স্পর্শ আর গন্ধকে অবলম্বন করেই এরা চলে। অষ্ট্রেলিয়ার যে অঞ্চলে এই প্রাণীদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে সেটি খাদান এলাকা। মাটির নীচে লোহা ও পাথর আছে। হয়ত এরকম পরিবেশই এই প্রাণীদের থাকার পক্ষে অনুকূল।