জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার করে ধনী দেশগুলো পৃথিবীর তাপমাত্রা নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ বলছে, আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়াসহ ১৫টি উন্নত দেশ তেল ও গ্যাসের উত্তোলন দ্বিগুণের বেশি বাড়াবে। এতে করে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আটকে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হতে পারে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) ‘প্রোডাকশন গ্যাপ’ প্রতিবেদনটি উল্লেখ করে সংবাদসংস্থা বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
আগামী সপ্তাহে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ ব্যাপক মাত্রায় কমানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। এ অবস্থায় ইউএনইপির প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী এক দশকে কয়লা উৎপাদন সামান্য পরিমাণ কমলেও বাড়বে তেল ও গ্যাস উত্তোলন। রাষ্ট্রপুঞ্জের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) গবেষকেরা চলতি বছরের শুরুর দিকে সতর্ক করে বলেছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রির বেশি বাড়লে তা বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এ জন্য ২০১০ সালের তুলনায় ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে। এ অবস্থায় কার্বন নিঃসরণ কমানোয় জোর দেওয়া দরকার হলেও বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানির পরিমাণ কমাচ্ছে না।