দক্ষতার তুলনায় নারী-পুরুষ বিভেদের অবসান

দক্ষতার তুলনায় নারী-পুরুষ বিভেদের অবসান

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৪ নভেম্বর, ২০২১

এই ধারণা যুগ যুগ ধরে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে আসছেন পুরুষরা। যে কোনও কর্মদক্ষতায় তারা এগিয়ে নারীর চেয়ে। বাংলায় বলা যেতে পারে, রামমোহন, বিদ্যাসাগরের বৈপ্লবিক কর্মযজ্ঞের প্রতিফলনে সাধারণ, অবদমিত হয়ে থাকা নারীর সামাজিক উত্থানের শুরু হয়েছিল। নারীও পড়াশুনো এবং অন্যান্য কাজে পরবর্তীকালে যুক্ত হতে পেরে নিজের মস্তিস্কের দক্ষতার পরীক্ষা দেওইয়ার সুযোগ পেতে শুরু করেছিল।
কিন্তু এখনও পৃথিবীর অনেক দেশে সক্ষমতার প্রসঙ্গে পুরুষের তুলনায় নারীকে ছোট করে দেখানোর রীতি রয়েছে। আর আশ্চর্যের বিষয়, এই প্রতিষ্ঠিত ধারণার পেছনে বিজ্ঞানীদেরও সক্রিয় ভূমিকা ছিল! তারা যুগ যুগ ধরে মানবমস্তিস্ক নিয়ে যতরকমের গবেষণা করেছেন, তাতে দেখানো হয়েছে পুরুষ মস্তিস্কের চেয়ে নারীমস্তিস্ক কম ক্ষমতাসম্পন্ন।
কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় মনে হচ্ছে সেই নিউরো-সেক্সিজমের অবসান ঘটল! নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড বায়োবিহেভিয়ারাল রিভিউজ নামের এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত সাম্প্রতিক এই গবেষণা জানিয়েছে যে কোনওরকম কর্মদক্ষতা বা নৈপূণ্যের বিষয়ে পুরুষ আর নারীর মস্তিস্কের কোনও বিভেদ নেই! গবেষকরা জানিয়েছেন, পুরুষ ও নারীর মস্তিস্কের আকারের তফাৎ থাকলেও তাদের কর্মদক্ষতার প্রসঙ্গে কোনও তফাৎ নেই। তাই মানবমস্তিস্ক নিয়ে লিঙ্গবৈষম্যের হয়ত অবসান ঘটল।