শুক্রবার দুপুরে নয়াদিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স পৌঁছে গিয়েছল ৪৬২-তে, মানে দূষণের ‘ অতি বিপজ্জনক অঞ্চলে’। পাশের শহরগুলোতেও ছবিটা একইরকম। ফরিদাবাদে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৪৬০, গ্রেটার নয়ডায় ৪২৩, গাজিয়াবাদে ৪৫০, গুরগাওয়ে ৪৭৮ এবং নয়ডায় ৪৬৬! দীপাবলির অনেক আগে, জানুয়ারি থেকেই দিল্লি সরকার বাজি পোড়ানো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছিল। বাজি বিক্রির বিরুদ্ধে চালিয়েছিল অবিরাম প্রচার। তাতে যে বিশেষ কাজ হয়েছে তা নয়। তবে এবছরও দিল্লির বাতাসে দূষণ বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছে যাওয়ার অন্যতম কারণ পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন খড় পোড়ানো!
শুক্রবার সকাল থেকে দিল্লির বাতাসে যে তীক্ষ্ণ ধোঁয়া আর কুয়াশার মোটা স্তর দেখা গিয়েছে সেটা, পরিবেশবিদদের মতে শুধু পোড়া বাজির কার্বন-ডাই-অক্সাইড নয়, পোড়া খড় থেকে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণও সমানভাবে রয়েছে সেখানে। শুক্রবার পর্যন্ত দিল্লি অঞ্চলে পোড়ানো খড় থেকে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ৩৬ শতাংশ! এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ২০১৯-এর দীপাবলির আগে যার পরিমাণ ছিল ১৯ শতাংশ আর গতবছর ছিল ৩২ শতাংশ।