প্রযুক্তি নিয়ে দোটানা

প্রযুক্তি নিয়ে দোটানা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

এ যেন উপকারের পিছু পিছু হেঁটে এল অপকার। অ্যাপেল বিশ্ববিখ্যাত এক ব্র‍্যান্ড, সকলেরই চেনা নাম। গোড়ার দিকে অ্যাপেল তাদের মোবাইল আইফোনে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশানের সুবিধা রাখলেও গত বছরের শেষ দিকে ‘নুরাল হ্যাস’ নামে এক প্রযুক্তির আমদানি করে। আই ফোনে তোলা ছবি ‘আইক্লুড ফোটোস’ এ ভোক্তা সেভ করার সঙ্গে সঙ্গেই ওই প্রযুক্তির দ্বারা সেভ করা ছবি নজরে রাখা যেত। অথচ অ্যাপেল ব্যক্তি-স্বাধীনতায় নজরদারির জন্যে মোটেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার কথা ভাবেনি। প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে ‘শিশুযৌন হেনস্থা’ সংক্রান্ত তথ্যের ভাণ্ডার তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল। যে তথ্যভান্ডার ‘ন্যাশানাল সেন্টার ফর মিশিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টিং চিল্ড্রেন’ রক্ষণাবেক্ষণ করত। কোনও ভোক্তার আইফোন থেকে ‘শিশু যৌন হেনস্থা’র ঘটনা পাওয়া গেলে অ্যাকাউন্টটি অকেজো করে দেওয়া হত এবং প্রয়োজন মতো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হত। কিন্তু বাদ সাধল ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রশ্ন। ‘ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশান’ নুরাল হ্যাস প্রযুক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রশ্নে হস্তক্ষেপের প্রশ্ন তুলে ২৫০০০ উপভোক্তার সই সংগ্রহ করে একটি পিটিশান দেয়। স্বাক্ষরকারীদের মতামত ছিল, প্রযুক্তিটি আসলে স্বৈরাচারী সরকারও ব্যবহার করতে পারেন জনগণের ওপর নজরদারি চালানোর জন্য। তাই অ্যাপেল কর্তৃপক্ষ বিপুল ঋণাত্মক ফিডব্যাকের জন্যে ‘নুরাল হ্যাস’ প্রযুক্তির ব্যবহার আপাতত স্থগিত রাখার কথা ভেবেছে।