যে মানুষদের মানসিক অবসাদে ভোগার জিনগত প্রবণতা রয়েছে, বাতাসে দূষণ বাড়লে তাদের মানসিক অবসাদে ভোগার সম্ভাবনা বেশি হয়! জানাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লিবের ইনস্টিটিউট ফর ব্রেন ডেভেলপমেন্টের এক বিজ্ঞানী হাও ইয়াং তান। গবেষণার কথা প্রকাশিত হয়েছে পিএনএএস নামের একটি জার্নালে। বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ, মানসিক অবসাদের লক্ষণ নেই এরকম মানুষ খুব কম আছে। কিছু মানুষের এই প্রবণতাটা বেশি। প্রবণতা মানে এই নয় যে তার মধ্যে নতুনভাবে মানসিক অবসাদের লক্ষণ তৈরি হবে, দূষিত অঞ্চলে থাকতে থাকতে তার মধ্যে জিনগতভাবে মানসিক অবসাদের যে প্রবণতা ছিল সেটা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সে, মানুষ যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে তাও মানসিক অবসাদ তাকে আক্রান্ত করতে পারে। এই গবেষণা শুরু করার আগে পৃথিবীর ৪০টি দেশের প্রচুর মানুষের মধ্যে সার্ভে করা হয়েছে।
গবেষকদের আর একজন, ঝি লি জানিয়েছেন, বাতাসের দূষণের সঙ্গে মানুষের মস্তিস্কের একটা স্নায়বিক যোগসূত্র রয়েছে। লি বলছেন, এই যোগসূত্রের খারাপ দিক হল দূষণ মানুষকে এমনভাবে আবেগতাড়িত করে তার মস্তিস্কে বার্তা পাঠায় যে সেখানেই মানুষটির মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। বাতাসে দূষণ বাড়লে মানুষের মস্তিস্কে তার গুরুতর প্রভাব যে পরে সেই নিয়ে বেজিংয়েও সাড়ে তিনশো জনের মধ্যে সার্ভে করা হয়েছিল। সাড়ে তিনশো জনের প্রত্যেকেই ৬ মাস ধরে থেকেছেন দূষণ কবলিত এলাকায়। গবেষকরা দেখেছেন, দূষণে প্রত্যেক মানুষের মধ্যে একটা ঝিমুনিভাব দেখা গিয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে জিনগতভাবে মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তারা কিন্তু পুরোপুরিভাবে ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছেন বাতাস দূষণে!