রবিবার মধ্য কলকাতার বাতাসে ওজনের স্তর ৬০ শতাংশ বেড়ে গেল। আট ঘন্টায় ওজনের স্তর বেড়ে হল প্রতি কিউবিক মিটারে গড়ে ১৬০ এমজি। রাজ্যের পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাড় গাইডলাইন অনুযায়ী এই ওজনের স্তর ১০০ ছাড়ালেই সেটা উদ্বেগজনক। মূলত গাড়ির ধোঁয়া আর শীতকালের কুয়াশার জন্যই ওজনের স্তরের এই বৃদ্ধি।
পরিবেশবিদ সোমেন্দ্রনাথ ঘোষ বলছেন, “ভিক্টোরিয়া অঞ্চলকে কলকাতার ফুসফুস বলা হয়, ওই অঞ্চলে এত ঘাস থাকার জন্য। তবু ওই অঞ্চলে দূষণ বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ শহর জুড়ে এত পুরনো গাড়ির চলাফেরা। নজরদারি সঠিকভাবে হচ্ছে না।” ঘোষের আরও বক্তব্য, “এই দূষণের ফলে ভিক্টোরিয়ার সাদা মার্বেলগুলো ক্রমশ হলুদ হয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতেও অনেক চেম্বারের দেওয়াল থেকে প্লাস্টার অফ প্যারিসও উঠে যাবে।” ঘোষের ব্যাখ্যা, গ্রাউন্ড লেভেলে ওজনের কোনও রং নেই। কিন্তু অস্বস্তিকর একরকমের গ্যাস তৈরি করে পৃথিবীর পৃষ্ঠে। ঘোষ আরও জানিয়েছেন, ওজন কিন্তু দূষণবৃদ্ধিকারী গ্যাসগুলোর মধ্যে গৌণ। তবু এই গ্যাস শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করলে নিঃশ্বাসের কষ্টে ভোগে মানুষ।