চেন্নাই-জাত, বর্তমানে ব্রিটিশ নাগরিক স্যর শঙ্কর বালসুব্রক্ষণ্যমকে দেওয়া হল চলতি বছরের ৩০ লক্ষ ডলার মূল্যের ‘ব্রেক থ্রু’ পুরস্কার। প্রাণের বীজ ডিএনএ-র জটিল রহস্য ভেদ করার উপায় বাতলে রসায়নবিদ শঙ্কর পেলেন বিজ্ঞানের গবেষণায় শীর্ষস্তরের এই স্বীকৃতি। রুশ বিজ্ঞানী ও ধনকুবের ইউরি মিলনার, সের্গেই ব্রিন ও ফেসবুক প্রধান মার্ক্ম জুকেরবার্গের দেওয়া ব্রেক-থ্রু পুরস্কার অর্থমূল্যে নোবেল পুরস্কারের চেয়েও দামি। তাই একে বিজ্ঞানের অস্কার বলা হয়। বৃহস্পতিবার এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। গণিত ও জীববিজ্ঞানে আরও পাঁচজনকে এবছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে শঙ্করই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। পর্দাথবিজ্ঞানে অবদানের জন্য প্রথম ভারতীয় হিসেবে ব্রেক-থ্রু পুরস্কার পেয়েছিলেন অধ্যাপক অশোক সেন।
দ্রুত গতিতে ডিএনএ-র রহস্যের সমাধান করার জন্য এবছরের পুরস্কারটি শঙ্কর আর এক ব্রিটিশ রসায়নবিদ ডেভিড ক্লেনারম্যানের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। দু’জনেই কেম্ব্রিজের অধ্যাপক।
শঙ্করের জন্ম চেন্নাইয়ে, ১৯৬৬-তে। দু’বছরের মাথায় বাবা, মায়ের সঙ্গে শঙ্কর চলে যান ব্রিটেনে। সেখানে তার শৈশব কেটেছিল চেশায়ারের একটি গ্রামাঞ্চলে। ডারেসবারি প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর ব্রিজওয়াটার হাই স্কুল হয়ে শঙ্কর যান কেমব্রিজের ফিটজইউইলিয়াম কলেজে ন্যাচারাল সায়েন্সে ট্রাইপস করতে। মাস্টার্সের পর সেখানেই বিজ্ঞানী ক্রিস অ্যাবেলের তত্বাবধানে পিএইচডি করেছিলেন শঙ্কর।
১৯৯১-এর পর থেকে শঙ্করের বিজ্ঞানের যাত্রা আলোকিত হতে শুরু করে। ওই বছরের শেষের দিকে ন্যাটো অন্তর্ভূক্ত দেশের রিসার্চ ফেলো হয়ে আমেরিকা যান, গবেষণা করেন পেনিসিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফিরে এসে কেমব্রিজের অধ্যাপক হওয়া, রয়াল সোসাইটির সদস্য হওয়া এবং ২০১৭-য় রানির হাত থেকে নাইটহুড খেতাব পাওয়া। পুরস্কার কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, শঙ্কর ও তার সহযোগী পুরস্কারপ্রাপকদের কাজ, মানুষের গোটা জিনকে বুঝে ফেলার গতি অন্তত ১০ লক্ষ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের গবেষকদের এই কাজ আরও উজ্জীবিত করবে।