![](https://bigyanbhash.org/wp-content/uploads/2021/12/bsolar-1024x538.jpg)
বিহারের জেহানাবাদ জেলার ধরণী গ্রাম। ২০১৪ পর্যন্ত গ্রামে আলো জ্বলেনি। চারপাশের গ্রামগুলোয় বিদ্যুৎ আসা সত্বেও ধরণী ছিল অন্ধকারেই। ২০১৪-য় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে ধরণী গ্রামে স্থাপিত হয় ১০০ কিলোওয়াটের একটি সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট। বিশ্বব্যপী বায়ুদূষণ ও জীবাশ্ম জ্বালানির সংকট মেটাতে পরিবর্ত এই ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করেছিলেন সেই সময়ের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও। প্রকল্পের উদ্বোধন করার সময় তার বক্তব্যে বলেছিলেন সৌরবিদ্যুৎই একমাত্র বিকল্প পথ। কিন্তু গ্রামবাসীরা অপেক্ষা করছিলেন কবে পাশের গ্রাম থেকে তাপবিদ্যুৎ সংযোগ করার সুযোগ আসবে। মাস দুয়েকের মাথায় সেটাই দেখা গেল। সৌরবিদ্যুৎ নয়, পাশের গ্রাম থেকে তাপবিদ্যুতের সংযোগ করছেন গ্রামবাসীরা। আর তার প্রতিফলন? পরের বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে খারাপ হতে শুরু করে সোলার প্যানেলগুলি। বর্তমানে সোলার প্ল্যান্টটি সম্পূর্ণ খারাপ। চাষিরা স্বেছাসেবী সংস্থার কাছ থেকে প্যানেলগুলো নিয়ে নিয়েছেন। জলসেচের কাজে ব্যবহৃত হয় ওই প্যানেলগুলো! আর কিছু সোলার প্যানেলকে একত্রিত করে চাষিরা তৈরি করেছেন তাদের গোয়াল ঘরের ছাউনি!
গ্লাসগোয় ক্লাইমেট চেঞ্জিং সামিটে ২০৫০-এর মধ্যে ভারতের বাতাস দূষণমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হয়ত মনে পড়েনি যে দেশের প্রথম সৌরগ্রামের কী অবস্থা হয়েছে সরকারি ঔদাসীন্যে!