বিরল- বস্তুর খোঁজ আফ্রিকার খনিতে

বিরল- বস্তুর খোঁজ আফ্রিকার খনিতে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৮ নভেম্বর, ২০২১

আফ্রিকার বৎসোয়ানার ওরাপা খনিতে হীরের খোঁজ চলছিল। কিন্তু হঠাৎই পাওয়া গেল আটকোনা একটি পদার্থ। প্রাথমিক পরিক্ষার পর দেখা গেল পদার্থটি আসলে ক্যালসিয়াম সিলিকেট- পারভাক্সাইট। সাধারণভাবে অত্যাধিক চাপে কেলাসিত হয়ে তৈরি হয় এই পদার্থ। তবে আগ্নেয়গিরির গর্ভে প্রবল চাপে ক্যালসিয়াম, সিলিকন কেলাসিত হয়ে এই পদার্থের জন্ম দিতে পারে কি না সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আমেরিকার নেভাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক – গবেষকরা পদার্থটির রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ করে জানান বস্তুটি আসলে তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়ামের একটি আইসোটোপ। এর মধ্যে থেরিয়াম ও পটাশিয়ামের ধর্মও রয়েছে। তাছাড়াও বস্তুটির মধ্যে রয়েছে এমন তিনটি পদার্থের সংমিশ্রণ যা ভূপৃষ্ঠে তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী মৌলের জন্ম দেয়।
হীরের মতো চকচকে নতুন এই বস্তুটির নাম দেওয়া হয়েছে বিখ্যাত ভূপদার্থবিজ্ঞানী হো- কাংয়ের(ডাভে) নামানুসারে – ডাভেমাওইট। ইন্টারন্যাশানাল মাইনরোলজিকাল অ্যাসোসিয়েশন কমিশন অফ নিউ মিনারেলস নেমক্লেচার(রাসায়নিক গঠন) বিশ্লেষণ করে বস্তুটিকে ‘রেয়ার আর্থ এলিমেন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বিজ্ঞানীদের অনুমান ছিল সাধারণ খনির গভীরতায় এধরণের পদার্থ পাওয়া আওম্ভব নয়। এবার সে ধারণা ভূল প্রমাণ করেই পাওয়া গেল ডাভেমাওইট। আপাতত আশঙ্কা একটাই- যে বিপুল চাপ ও তাপে মৌলটি গঠিত হয়, সাধারণ স্থানে সেই মৌলিক গঠন ভেঙেচুরে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + six =