ভবিষ্যতের মহাদেশ এবং সোমালয়

ভবিষ্যতের মহাদেশ এবং সোমালয়

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১০ জানুয়ারী, ২০২২

নেদারল্যান্ডসের উৎরেচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্বের অধ্যাপক ভান হিনসেনভার্গ এবং তার ছাত্রছাত্রীরা মিলে তৈরি করেছেন ২০০ মিলিয়ন বছর পর পৃথিবীর এক মানচিত্র। গত দু’বছর ধরে এই বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে হিনসেনবার্গ যে মানচিত্র তৈরি করেছেন তাতে দেখা গিয়েছে পৃথিবীর মানচিত্রে এক নতুন মহাদেশ সৃষ্টি হবে ২০০ মিলিয়ন বছর পর! সেই মহাদেশে থাকবে ভারত, মাদাগাস্কার এবং সোমালিয়া! এশিয়ার দক্ষিণে থাকা ভারতের সঙ্গে পূর্ব আফ্রিকায় থাকা সোমালিয়া আর তারও আরও দক্ষিণে থাকা মাদাস্কারের একসঙ্গে হয়ে যাওয়ার চেয়েও আশ্চর্যের বিষয়, এই তিন দেশের মাঝখান দিয়ে যাওয়া বিশাল ভারত মহাসাগরের সম্পূর্ণ উবে যাওয়া! এবং একইসঙ্গে, তিন দেশ জুড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হিনসেনবার্গের গবেষণা জানাচ্ছে, হিমালয়ের মত বিশাল এক পর্বতমালারও সৃষ্টি হবে নতুন মহাদেশে। হিমালয়ের সঙ্গে মিলিয়ে হিনসেনবার্গ সেই নতুন পর্বতমালার নাম দিয়েছেন সোমালয়! ভূমধ্যসাগর যে একসময় আসলে স্থলভাগ ছিল সেটা প্রমাণ করেছেন এই হিনসেনবার্গ। কিন্তু ভবিষ্যতের পৃথিবীর মানচিত্র তৈরির কাজ প্রথমবার হল। নতুন মহাদেশ সৃষ্টির পেছনে যে বৈজ্ঞানিক কারণ গবেষকরা দেখিয়েছেন তা হল, আফ্রিকার মাঝামাঝি অঞ্চল জুড়ে শিলাস্তরে রয়েছে এক বিশাল ফাটল। গবেষকরা বলছেন, ওই শিলাস্তর পুরোপুরি ফেটে যাওয়ার পর আফ্রিকা মহাদেশ দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। ভারত মহাসাগরও তার বর্তমান অবস্থান থেকে পুরোপুরি সরে যাবে। আর তাতে নতুন মহাদেশ সৃষ্টির সম্ভাবনা।