![](https://bigyanbhash.org/wp-content/uploads/2021/09/images-3.jpg)
মহাকাশে ওজোন স্তরের ‘হোলের’ আকার অ্যান্টার্ক্টিকার চেয়েও বড় হয়ে যাচ্ছে! কারণ, বর্জ্য নিগর্মন! গ্রীনহাউস গ্যাস থেকে শুরু করে নানারকমের অন্যান্য বর্জ্য উপাদান, যার মধ্যে থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইডের দূষণের প্রতিফলনেই ওজোন স্তর ক্রমশ বড় হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর উৎসাহী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ঘোষণা করা হয়েছে মন্ট্রিয়ল প্রোটোকল মেনে সমস্তরকমের ওজোন ডিপ্লেটিং সাবস্ট্যান্স সরিয়ে ফেলা হবে! একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ঘোষণা, ইন্ডিয়া কুলিং অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়িত করতে যা যা প্রয়োজন সব করা হবে। মানে দেশের আবহাওয়া দূষণমুক্ত করে, সমস্তরকমের কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন বন্ধ করে সামগ্রিকভাবে তাকে শীতল করার উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক! আদৌ হবে কি না সে তো সময় জানাবে! কিন্তু ২৭তম গ্লোবাল ওজোন দিবস পালন করছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেই উপলক্ষ্যে ছিল তার ঘোষণাটি। একইদিনে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে ইতিমধ্যে ভারতের আবহাওয়ায় কার্বন টেট্রাক্লোরাইড, ক্লোরোফ্লুরো কার্বন, হ্যালনস, মেথিল ব্রোমাইড, মেথিল ক্লোরোফর্মের মত বিষাক্ত গ্যাস আর পাওয়া যাবে না। কারণ প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষ, সমস্তরকমভাবেই এই গ্যাস নির্গত হয় যে যে শিল্পকর্ম থেকে, সেগুলো নিষিদ্ধ করা হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পর্যবেক্ষণ, এই মুহুর্তে দেশে যাবতীয় কল কারখানা ও শিল্পাঞ্চল থেকে যে বিষাক্ত গ্যাসটির নির্গমন হয় তা হল হাইড্রো-ফ্লুরো-কার্বন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিশ্চিত, ২০২৩-এর মধ্যে অধিকাংশ পরিমাণে এই কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাস থেকে সরে যাবে কারণ, এই গ্যাস নির্গমন যে কাজ থেকে হয় সেটা নিষিদ্ধ করা হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে, ভারতের লড়াই পরিবেশদূষণ ও আবহাওয়া পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আরও জোরদার হবে। সবই অপেক্ষার বিষয়!