ভাল্লুক নিয়ে অবৈধ ব্যবসা এখনও চলছে

ভাল্লুক নিয়ে অবৈধ ব্যবসা এখনও চলছে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৯ নভেম্বর, ২০২১

ভারতে ভাল্লুক নিয়ে অবৈধ ব্যবসার রমরমা! বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন জারি থাকা সত্বেও এই অবৈধ ব্যবসা থামানো যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে ২০০৯ থেকে ২০১৯-এই দশ বছরে অন্তত ২৬৪টি ভাল্লুককে অবৈধভাবে শিকার করে মেরে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে এশিয়ার কালো ভাল্লুকের সংখ্যা বেশি। কারণ তাদের পিত্তকোষ প্রয়োজন হয় মানুষের ওষুধ তৈরির কাজে। কালো ভাল্লুক ছাড়া চোরা কারবারিদের পছন্দের ভাল্লুক হল স্লথ ভাল্লুক। তাদের দাঁত আর চামড়া চোরা কারবারিদের কাছে মহার্ঘ বস্তু। ভাল্লুকদের বিপর্যয় নিয়ে সাম্প্রতিক এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে গ্লোবাল ইকোলজি অ্যান্ড কনজারভেশন পত্রিকায়। গবেষণার সঙ্গে যুক্ত থাকা কানাডার মনিটর কনজারভেশন রিসার্চ সোসাইটির গবেষক ক্রিস শেফার্ড বলেছেন, “ভাল্লুকরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের যে ঐতিহ্যগত ওষুধ সেগুলো তৈরি করতে প্রয়োজন হয় ভাল্লুকদের গল ব্লাডার আর হাড়। তাদের মাংস চলে যায় বাইরের খাবার শিল্পে। আর ওদের দাঁত, নখ, চামড়া, এমনকী মাথার খুলিও মানুষ কেনে স্মারক হিসেবে বাড়িতে রেখে দেওয়ার জন্য! তাবিজ বানিয়ে হাতে পরার জন্য। গবেষণা আরও জানিয়েছে, ভাল্লুকের গল ব্লাডারের পাচার হওয়া আজকের ঘটনা নয়। সেই ১৯৮১ থেকে চলছে! ভারত থেকে গল ব্লাডার অবৈধভাবে পাচার হয়ে যায় জাপানে, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, চিন, মায়ানমার এবং নেপালে। ভারতে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে চোরা পাচারে কেউ ধরা পড়লে তার সাত বছর পর্যন্ত হাজতবাস হতে পারে। তার সঙ্গে বড় অঙ্কের জরিমানা। ২০১২-তে আলাদাভাবে ন্যাশনাল বিয়ার কনজারভেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হল। কিন্তু তাতেও ভাল্লুক বধের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করা যাচ্ছে না।