মহাকাশে ‘হীরের’ খোঁজে প্রথম সৌরচালিত মহাকাশযান

মহাকাশে ‘হীরের’ খোঁজে প্রথম সৌরচালিত মহাকাশযান

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৮ অক্টোবর, ২০২১

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেপ কানাভারাল থেকে শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় অ্যাটলাস ভি রকেটে চেপে মহাকাশে উড়ে গেল লুসি। নাসার পাঠানো প্রথম সৌরচালিত মহাকাশযান। ১২ বছরের জন্য তাকে মহাকাশে পাঠানো হল। বৃহস্পতির চারপাশ দিয়ে ঘুরে বেড়ানো ট্রোজান এবং আরও সাতটি গ্রহাণুর সন্ধানে মহাকাশে গিয়েছে লুসি। নাসার তরফে বলা হয়েছে, প্রত্যেকটি গ্রহাণুকে বিশ্লেষণ করে সৌরজগতের এক একটি অজানা তথ্য জানা যাবে। তাই এই অভিযান। ২০২৫-এ প্রথম গ্রহাণু ডোনাল্ড জোহানসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে লুসির। জোহানসনের অবস্থান বৃহস্পতি আর মঙ্গলের মাঝে। ২০২৭ থেকে ২০৩৩-এর মধ্যে লুসি সাক্ষাৎ করবে আরও সাতটি গ্রহাণুর সঙ্গে। বৃহস্পতির কাছাকাছি গ্রহাণুদের ঝাঁকের মধ্যে থাকা পাঁচটি গ্রহাণুর এবং সেই ঝাঁকের বাইরে থাকা আরও দু’টি গ্রহাণুর সঙ্গে। গ্রহাণুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রহাণুর ডায়মিটার ৯৫ কিলোমিটার। লুসি প্রত্যেকটি গ্রহাণুর ৪০০ কিলোমিটারের বৃত্তে ডেরা বাঁধবে। সেখান থেকে তার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সহায়তায় (যার মধ্যে বিশেষভাবে উন্নেখযোগ্য এক বিশাল অত্যাধুনিক অ্যান্টেনা) গ্রহাণুগুলোর ভূতত্ব বিশ্লেষণ করার কাজ শুরু করবে। যার মধ্যে অন্যতম তিন উপাদান হল ঘনত্ব, ভর এবং আয়তন।
বৃহস্পতির চারপাশে যে ট্রোজান গ্রহাণুগুলো প্রদক্ষিণ করে বেড়াচ্ছে তার সংখ্যা মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে সাত হাজারেরও বেশি! বিজ্ঞানীদের অনুমান সৌরজগতের দৈত্য যে গ্রহগুলো রয়েছে অর্থাৎ বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস আর নেপচুনের বর্জ্য থেকে সৃষ্টি হয়ে ওই গ্রহাণুগুলি। হ্যাল লেভিসন এই অভিযানের অন্যতম উদ্যোক্তা। বলেছেন, “পৃথিবী থেকে আমরা টেলিস্কোপে গ্রহাণুদের দেখার সময় মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এক একটা গ্রহাণুর একটা রং। কোনওটা লাল, কোনওটা বাদামি-মহাকাশে যেন এক একটা হীরে!”