ম্যানগ্রোভ ও সুন্দরবনের কথা/ ৫

ম্যানগ্রোভ ও সুন্দরবনের কথা/ ৫

রথীন মণ্ডল
Posted on ১০ অক্টোবর, ২০২১

নয় ভাইয়ের সংসারে

সাত ভাই চম্পা জাগোরে জাগোরে,
ঘুম ঘুম থেকো না ঘুমেরি ঘোরে।।
এ যে সুন্দরবন, সদা জোয়ার ভাটার টান,
বলল ডেকে ডেকে সারা,
দাও সাড়া গো, সাড়া।

উপরের গানটি একটি রূপক হিসেবে ব্যবহার করলাম। পারুল বনে সাত ভাই, আর বোন চম্পা। চম্পা সাত ভাইকে ডাক দিচ্ছে সাড়া দেওয়ার জন্য। জোয়ার ভাটার সুন্দরবনে একই পরিবারের নয়টি সদস্যের ম্যানগ্রোভস প্রজাতি। এরা এককভাবে ম্যানগ্রোভস প্রজাতির বৃহত্তম পরিবার। প্রকৃতি এদেরকে আহ্বান করছে আত্মপ্রকাশের জন্য। সাত ভাই চম্পার উপমা তাই প্রাসঙ্গিক মনে হল। সর্ববৃহৎ পরিবারের সদস্য হলেও, সুন্দরবনে এই নয়টি প্রজাতির উপস্থিতি চোখে পড়ার মত নয়। এই পরিবারটির বিশেষত্ব হল, একমাত্র এই নয়টি সদস্য সুন্দরবনে জরায়ুজ অঙ্কুরোদ্গম করতে পারে। এই জরায়ুজ অঙ্কুরোদ্গম লবন জলে বেঁচে থাকার জন্য এক উপযোগী জনন অভিযোজন বৈশিষ্ট্য। জরায়ুজ অঙ্কুরদ্গম সারা বছর দেখা যায়। বর্ষায় বেশি হয়। গাছেরা তাদের সন্তানদের নিজেদের কাছে সুরক্ষিত রাখে। বর্ষার সময় পরিবেশের লবনের মাত্রা কমলে, তারা সন্তানদের কোল থেকে নামিয়ে দেয়। কতকটা এইরকম, মা সন্তানদের আড়াই-তিন বছর পর্যন্ত নিজেদের কাছে রাখে। তারপর তাদেরকে স্কুলে পাঠায়।
এরা নয়টি চারটি গোষ্ঠীতে বিভক্তঃ কাঁকরা, গর্জন, গরাণ ও গড়িয়া। কাঁকরার আবার চার সদস্যঃ ১) লাল কাঁকরা, ২) হলুদ কাঁকরা, ৩) বকুল কাঁকরা বা বকুল, ও ৪) সোনা চাপা বা বকুল। গর্জনের দুই সদস্যঃ ৫) বড় গর্জন, ও ৬) ছোটো গর্জন। গরাণের দুই সদস্যঃ ৭) মঠ গরাণ বা জাত গরাণ, ও ৮) ঝামটি গরাণ বা জেলে গরাণ। চতুর্থ গোষ্ঠীর একমাত্র সদস্য – ৯) গড়িয়া।
‘কলি কলি ফুল ফুটেছে নীল কালো আর সাদা, কোন ফুলেতে কৃষ্ণ আছেন কোন ফুলেতে রাধা’। দুটি কাঁকরার রূপ বর্ণনায় এই গানের কলিটি ব্যবহার করলাম।
১) লাল কাঁকরা খুবই দৃশ্যমান তাদের টুকটুকে লাল বৃতির জন্য। চোখে পড়ার মত। এর জরায়ুজ অঙ্কুরিত মূলদণ্ড বৃতির নীচে ঝুলতে থাকে। এর রঙ গাড় সবুজ। লাল আর সবুজের বৈপরীত্যে রূপের এক অনন্য মাত্রা দেয়, যা বেশ আকর্ষণীও! এই গাছ মাঝারি হয়। পাতা হয় চওড়া, মোটা ও উপরিতলে সূর্যের আলো পড়লে চিক চিক করে। এদের প্রচুর পরিমাণে বায়বীয় মূল থাকে। এগুলি গাছের চারধারে মাটির উপরে ছড়িয়ে থাকে। দেখতে কতকটা হাঁটু ভাঙ্গার আকৃতির মত। মনে হয় অনেকগুলো হাঁটু ভেঙ্গে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। এরা শ্বাস গ্রহণ করে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া চালায়। এছাড়াও, মাটির সঙ্গে কাণ্ডের চারধারে ঝাঁটার মত ঠেসমূল গুচ্ছাকারে কাণ্ডকে ঘিরে রাখে। এরা আবার গাছকে মাটির উপর দাঁড়িয়ে থাকার জন্য যান্ত্রিক বল যোগায়। এদের কচি চারাগাছ সুন্দরবনে দেখা যায়।
২) হলুদ কাঁকরা সুন্দরবনে খুব কম দেখতে পাওয়া যায়। সুন্দরবনের বাগনা রেঞ্জ বা দত্ত ফরেস্টে এদেরকে দেখা যয়। কতকটা ছড়িয়ে ছিটেয়ে আছে। এরা ছোটো গাছ, পাতার রঙ সবুজের সঙ্গে হালকা হলুদের আভা মেশানো। কাণ্ডের চারধারে ঝাঁটার মত ঠেসমুল গুচ্ছাকারে কাণ্ডকে ঘিরে রাখে। এদের কচি চারাগাছ সুন্দরবনে দেখা যায় না। এদের বৃতি হাল্কা হলুদ রঙের, সঙ্গে জরায়ুজ অঙ্কুরিত সবুজ রঙের মূলদণ্ড বৃতির নীচে ঝুলতে থাকে। এরা লাল কাঁকরার মত আকর্ষণীয় নয়। জরায়ুজ অঙ্কুরিত মূলদণ্ড-বৃতির রঙ দেখে লাল ও হলুদ কাঁকরার পার্থক্য বোঝা যায়। কৌতুক করে লোকেরা বলে – লাল কাঁকরা কৃষ্ণ, আর হলুদ কাঁকরা রাধা।
৩) বকুল কাঁকরা বা বকুল সুন্দরবনে ভালোরকম পাওয়া যায়। লম্বা লম্বা গাছ হয়, বেশ সবুজ রঙের। ডালপালা বেশী হয়। পাতা চওড়া, মোটা, গাড় সবুজ ও উপরিতলে সূর্যের আলো পড়লে চিক চিক করে। জরায়ুজ অঙ্কুরদ্গমের ফলে সবুজ রঙের মূলদণ্ড বৃতির নীচে ঝুলতে থাকে। এদের বৈশিষ্ট হল, তিনটি ছোট ছোট জরায়ুজ অঙ্কুরিত মূলদণ্ড একসঙ্গে ঝুলতে থাকে। মূলদণ্ড গুলির বাইরের দিকটা মসৃণ। এদের তিনটি বৃতি ও একসঙ্গে থাকে। ফুলগুলো কে বকুল ফুলের মত দেখতে লাগে। এদের চারাগাছ প্রায় দেখা যায়।
৪) সোনা চাপা বা বকুল সুন্দরবনে প্রায় দেখা যায় না। কিছু গাছ দূর মোহনায় পাওয়া যায়। সেখানে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুযোগ ণেই। সুন্দরবনের কোর অঞ্চল। গাছটি মাঝারি ধরনের হয়। ডালপালা ছড়িয়ে থাকে। পাতা চওড়া, মোটা, হালকা সবুজ ও উপরিতলে সূর্যের আলো পড়লে চিক চিক করে। জরায়ুজ অঙ্কুরদ্গমের ফলে হালকা সবুজ রঙের চার থেকে সাতটি মাঝারি লম্বা সরু মূলদণ্ড বৃতির নীচে একসঙ্গে ঝুলতে থাকে। বৃতির শেষ অংশ পিছনের দিকে মোড়ান থাকে। জরায়ুজ অঙ্কুরিত মূলদণ্ডের গায়ে লম্বা লম্বা উঁচু নিচু দাগ উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সমান্তরাল ভাবে বিন্যস্ত। মূলদণ্ডের ডগাটি ছুঁচল। এদের চারাগাছ প্রায় দেখা যায় না।
আছে গর্জনের দুই ভাই সুন্দরবনেতে, আয়রে তোরা দেখবি যদি আয়রে চলে আয়।
৫) সুন্দরবনে বড় গর্জনের প্রভাব ও প্রতিপত্তি খুব বেশি। প্রায় সব জায়গায় দেখা যায়। সুন্দরবনে গেলে দেখতে পাওয়া যায় সবুজ রঙের বড় বড় লম্বা লাঠিগুলো গাছ থেকে ঝুলছে। এইগুলি জরায়ুজ অঙ্কুরিত সবচেয়ে বড় মূলদণ্ড। এদেরকে কিছুটা দূর থেকেও দেখা যায়। গায়ে মাঝে মাঝে ছোট ছোট খুসকির মত গোলাকার দাগ দেখা যায়। এরা শ্বাসক্রিয়া চালায়। সন্দেহ নেই বড় গর্জনের গাছ। এবং অন্য গাছ থেকে এদেরকে সহজে পৃথক করা যায়। এরা মাঝারি ধরনের গাছ হয়। পাতা চওড়া, মোটা, ও উপরিতলে সূর্যের আলো পড়লে চিক চিক করে। এদের ডালপালা অনেক হয়। এদের প্রধান বৈশিষ্ট হল, এরা মাটির উপরে কাণ্ডের বেশ কিছুটা উপর থেকে অসংখ্য ঠেসমূল বের করে। ঐ ঠেসমূল গুলি উপর থেকে নেমে মাটিতে গেঁথে যায়। ছোট চারাগাছ থেকে বড় পরিণত গাছের ঠেসমূল দেখা যায়। ঠেসমূলের সংখ্যা বেশি হলে কাণ্ডকে আর দেখা যায় না। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন মোহনার কিনারা ধরে বেড়া দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসে মাটির ভাঙন হলেও এরা দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। যেন ‘একা কুম্ভ রক্ষা করে নকল বুদির গ্ড়’।
৬) ছোটো গর্জন সুন্দরবনে প্রায় নেই বললেই চলে। দূর মোহনায় পাওয়া যায়। ছোট গাছ, কিন্তু ডালপালা প্রচুর, ঝাড় হয়ে থাকে। হালকা বাদামী সবুজ রঙের লম্বা লাঠিগুলো গাছ থেকে ঝুলতে থাকে। জরায়ুজ অঙ্কুরিত মূলদণ্ড গুলি মসৃণ। মুলদণ্ডের নিচের অংশ ছুঁচালো। পাতাগুলো বড় গর্জনের পাতার মত, কিন্তু ডগাটা ছুঁচল নয়। ঠেস মূলগুলো বড় গর্জনের মত, একই রকম বিন্যস্থ।কিন্তু এর ঠেস মূলের ঘনত্ব বড় গর্জনের চেয়ে বেশি হয়। মাটির ভাঙন হলেও এদের অসুবিধা হয় না। এরা দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। এরা গাছকে যান্ত্রিক বল প্রদান করে প্রতিকুল পরিবেশে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। এদের চারাগাছ দেখা যায় না।
হেঁকে বল ই ঈ, মঠ গরানের চূড়া আছে ভাই।
৭) মঠ গরানের মাথাটা চূড়ার মত। এদের সুন্দরবনে কম সংখ্যায় দেখা যায়। ছোট গাছ, কাণ্ডটি সোজা, ঐ চুড়াতেই যা ডালপালা। মনে হবে যত্ন করে প্রতিদিন কোন মালি ডালপালা ছেঁটে দিয়ে যায়। পাতা হালকা সবুজ, চওড়া, ও মোটা। সূর্যের আলো পড়লে উপরিতল চিক চিক করে। জরায়ুজ অঙ্কুরিত দণ্ডগুলি লম্বা, সরু, ডগাটি ছুঁচল ও নিচের দিকে ঝুলতে থাকে। তিন-চার টি মূলদণ্ড একসঙ্গে ঝুলতে দেখা যায়। মূলদণ্ডের গায়ে লম্বা লম্বা উঁচু নিচু দাগ উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সমান্তরাল ভাবে বিন্যস্ত। রাক্ষসখালি অঞ্চলে ও দূর মোহনায় এদের দেখা যায়। এদের চারাগাছ দেখা যায় না।
৮) ঝামটি গরাণ সুন্দরবনে সব জায়গায় দেখা যায়। সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভ বনভুমি বৃদ্ধিতে এদের অবদান অনেকখানি। অনেক অত্যাচার সহ্য করেও এরা ভাল সংখ্যায় এখনও বেঁচে আছে। এরা গুল্ম জাতিও গাছ বা একেবারে ছোট গাছ। ডালপালা প্রচুর ও ঝাড় হয়ে থাকে। অবিন্যস্থ ভাবে ছড়ান ছিটানো। পাতা হালকা সবুজ, চওড়া, ও মোটা। সূর্যের আলো পড়লে উপরিতল চিক চিক করে। প্রচুর ফুল ও ফল হয়। জরায়ুজ অঙ্কুরিত ছোট ছোট মূলদণ্ড গুলির শেষ অংশ ভোঁতা, উপরের দিকে উঠে থাকে। ছয় সাতটি মূলদণ্ড একসঙ্গে ও থাকতে পারে। অযত্নেও অসংখ্য চারাগাছের জন্ম্ হয়। প্রতিকুল পরিবেশেও বেঁচে থাকতে পারে।
‘আমাকে আমার মত থাকতে দাও,
আমি নিজেকে নিজের মত গুছিয়ে নিয়েছি’’
তাই, এসে গেছি মোহনার কাছাকাছি,
তোমাদের থেকে অনেক দূরে তাই আছি।

৯) গড়িয়া নামটার সঙ্গে বৃহত্তর কলকাতা নগরীর সবার পরিচয় আছে। কলকাতার বাইরে ও অনেক মানুষ এই নামটার সঙ্গে পরিচিত। হয়তো, গড়িয়া অঞ্চলের সঙ্গে এই ম্যানগ্রোভ প্রজাতির বেদনার আত্মকথা লুকিয়ে আছে। এক সময় ব্যারাকপুর পর্যন্ত সুন্দরবন প্রসারিত ছিল। অনুমান করা যায় গড়িয়া অঞ্চল একসময় গড়িয়া ম্যানগ্রোভের স্বর্গোদ্যান ছিল। এখন সেই গাছ সুন্দরবনে দেখা যায় না। কিছুদিন আগে পর্যন্ত, ঝড়খালি বাংলোর পুকুরের কাছে কয়েকটি গাছ ছিল, পরে ওইগুলো কাটা পড়েছে। লেখকের অভিজ্ঞতার কথাঃ সামসের নগর, হিংগলগঞ্জ, একপাশে রায়মংগল বয়ে চলেছে। ও পারে খুলনা, বাংলাদেশ। এপারের বাঁধে ছিন্ন্মূল কিছু মানুষ ঘর বেঁধেছে। তাদের ‘নেই কোন ঠিকানা’। বাড়ির উঠোনের চারধারে গড়িয়ার গাছ, ছোট গাছ, প্রচুর ডালপালা। সজনের ডাঁটার মত অসংখ্য জরায়ুজ অঙ্কুরিত দণ্ডগুলি থোকা থোকা ঝুলছে। দণ্ডগুলি সরু, লম্বা, ও ডগা বেশ ছুঁচল। ঠিক পরের বছর, আবার গেলাম। জায়গাটি চিনতে গিয়ে গুলিয়ে ফেললাম। একটাও গড়িয়া গাছ নেই। ছোট মিষ্টি গাছ। দেখলে আদর করতে ইচ্ছে হবে। সরু মাঝারি-লম্বা সবুজ পাতায় চারদিক টলমল করছে। সাদা ফুল, উজ্জল। মনে হবে পাঁপড়ই গুলো ডাকছে। ফুল ফুটলে ভ্রমরের গুঞ্জনে বিহ্বল হতে হয়। প্রকৃতি যেন ওকে সব উজাড় করে দিয়েছে। আমরা এই গাছকেও কাঠতে পারি। আমাদের হিংস্রতা সীমাহীন। মানুষের গ্রাসে তারা নিঃশেষ। এটা কোন বিচ্ছিন্ন্ ঘটনা নয়, এটা সুন্দরবনের সার্বিক চিত্র। যদিও পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রিত। সুন্দরবনের দূর মোহনার বাংলাদেশের সীমানার কাছাকাছি এপারের বুড়ীর ঝাপি অঞ্চলে নদীর ধারে ধারে এদের দেখা যায়। এদের চারাগাছ সুন্দরবনে দেখা যায় না।
এই পরিবারের নয়টি গাছের গৃহস্থলির কাজে ব্যবহার দেখার মত। কি না কাজে লাগে। জ্বালানি, ঘরের কাঠামো, আসবাব প্ত্র, জানলা, দরজা, খাট, টেবিল, চেয়ার, লাঠি ও ইত্যাদি। গরানের কাঠ খুব শক্ত। কলকাতায় বিক্রি হয় খুব বেশি দামে। বিরিয়ানি তৈরিতে একে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কারন এই কাঠ অনেকক্ষণ ধরে জ্বলতে থাকে এবং শোনা যায়, এর আগুনের তাপের মাত্রাও খুব বেশি।
‘কুটিলের মন্ত্রে শোষণের যন্ত্রে শত প্রান গেল রে’
নয়টি সদস্যের প্রজাতির মধ্যে, চারটিকে দেখা যায়। বাকিদের চম্পা নামক বনবিভাগের বোন কে এদের জাগিয়ে তুলতে উদ্যোগী হতে হবে। এদের বাঁচানোর জন্য কিছু উপায় আলোচনা করা হলঃ ১) এই প্রায় হারিয়ে যাওয়া গাছগুলোর পরিণত বীজ সংগ্রহ করে নার্সারিতে অঙ্কুরিত করাতে হবে। ২) চারাগাছ গুলি বিশেষ জায়গায় লাগাতে হবে। ৩) প্রতিনিয়ত তাদের পরিচর্যা করতে হবে। ৪) সেক্ষেত্রে কোন বিশেষ জায়গাকে বেছে নিতে হবে, যেখানে কিনা জোয়ার ভাটা খেলে। ৫) ইকোলজিকেল পার্ক গঠন করা যেতে পারে, যেখানে প্রায় হারিয়ে যেতে থাকা গাছগুলোর পুনস্থাপন করা যেতে পারে। এটা একরকম রিহেবিলিতেশান সেন্টারের মত। যদি পরিকল্পনা ঠিক ঠিক কাজে লাগে, আমরা নিশ্চিতভাবে কবি সুকান্তের কথায় বলতে পারি। ‘এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গিকার। (চলবে)