শস্যের গোড়া পুনর্ব্যাবহার করার যন্ত্র আবিষ্কার

শস্যের গোড়া পুনর্ব্যাবহার করার যন্ত্র আবিষ্কার

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৪ নভেম্বর, ২০২১

বায়ুদূষণকে পরিবেশের স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করার অন্যতম চাবিকাঠি বলা যায়। আধুনিক জীবন যাপনের বিভিন্ন দিক বাতাসে স্বাভাবিকের বেশি কার্বন ছাড়ে। সম্প্রতি গ্লাসগোয় চলা বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্ব উষ্ণায়ণ ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে বেঁধে ফেলার কথা এসেছে। কার্বন নিস্বরণের পরিমাণ না কমিয়ে উষ্ণতা কমানো সম্ভব নয়।
ভারতের মতো কৃষি প্রধান দেশে চাষের জমিতে খড়কুটো পোড়ানো বায়ুদূষণের বড় উৎস। দানা শস্য ধান, গম, যব, বাজরা ইত্যাদির ফসল উঠে যাওয়ার পরে মাঠে পড়ে থাকা গাছের গোড়া (যাকে ‘নাড়া’ বলা হয় চলিত বাংলায়) পোড়ানো হয় বিপুল পরিমানে পাঞ্জাব, হরিয়ানা – এই রাজ্যগুলিতে। এই সমস্যার সমাধান করে ফেলেন দিল্লির মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার বিদ্যুৎ মোহন। শস্যের গোড়া বা নাড়া না পুড়িয়ে পুনর্ব্যাবহারযোগ্য করার যন্ত্র বানিয়েছেন তিনি এবং সহযোগী কেভিং কুইং। ধানের নাড়া, নারকোল ছোবড়া – ইত্যাদি থেকে শক্তি উৎপাদনে সক্ষম বিদ্যুতের যন্ত্র। এছাড়াও ঐ যন্ত্রে কৃষি জমির ঐ বর্জ্য থেকে জ্বালানি এবং সার তৈরি সম্ভব। এই যন্ত্র ৯৮% কার্বন নির্গম্ন কমাতে সক্ষম।
২০১৮ সালে যন্ত্রটি বাজারে আনেন বিদ্যুৎরা। এপর্যন্ত তাঁরা প্রায় ৪৫০০ কৃষকের সাথে কাজ করেছেন। উত্তরাখণ্ডে ইতিমধ্যেই ব্যবহার শুরু হয়েছে এই যন্ত্রের।
আরো আশার কথা গ্লাসগোয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সাক্ষাতে যন্ত্রের কথা জানান বিদ্যুৎ। আনন্দের খবর যে ব্রিটিশ রাজকুমার উইলিয়ামের ঘোষিত ‘আর্থশট প্রাইজ’- এর চূড়ান্ত তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বিদ্যুতের তৈরি যন্ত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + twelve =