ম্যাসাচুসেটস হাসপাতালের চিকিৎসকদের গবেষণা-জনিত বার্তা, শাকসবজি ও ফল বেশি করে খেলে কোভিড-১৯-এর প্রকোপ কম হবে। আক্রান্ত হলেও দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হবে। মানে চিকিৎসকদের মত, খাদ্যসংযম যারা করতে পারবে তাদের পক্ষে সুবিধে হবে কোভিড ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার। যে কারণে চিকিৎসকরা বলছেন, আর্থ-সামাজিক বঞ্চনার শিকার পৃথিবীর যত কোটি মানুষ, যাদের পক্ষে ডায়েট করে নিয়মিত খাওয়া স্বপ্নের মত, তাদেরই কোভিডে আক্রান্ত হতে বেশি দেখা গিয়েছে। এর আগের রিপোর্টেও জানা গিয়েছিল, দুর্বল নিউট্রিশনে কোভিড-১৯ এর প্রকোপ অনেক বেশি ধারালো। কিন্তু সাম্প্রতিকতম এই গবেষণা আরও নির্দিষ্টভাবে ডায়েটের সঙ্গে কোভিডের সম্পর্কের কথা বলছে। হাভার্ড মেডিকেল স্কুলের এক বিজ্ঞানীদের দল গতবছর মার্চ থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষের মধ্যে ফোনে এই বিষয় নিয়ে একটা সার্ভে করেছিল। অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইংল্যান্ডের। মহামারী ছড়িয়ে পড়ার আগে তাঁদের ‘ডায়েট’ জেনেছিলেন গবেষকরা। সার্ভের পর দেখা গিয়েছে ৩১ হাজার ৮৩১ জন অংশগ্রহণকারী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। ডায়েট যারা করতেন তাদের মধ্যে মাত্র ৯ শতাংশ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর যাঁদের পক্ষে নিয়মিত খাদ্যসংযম করার অভ্যাস ছিল না তাঁদের মধ্যে গুরুতরভাবে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪১ শতাংশ। হাভার্ড স্কুলের গবেষকদের বক্তব্য, এই গবেষণার উদ্দেশ্য দেশের সরকারকে সচেতন করা। যাতে আর্থ-সামাজিকভাবে দুর্বল অধিকাংশ মানুষকে স্বাস্থ্যকর খাদ্য দেওয়া যায়। সোনার পাথরবাটির মত লাগছে কি শুনতে!