সম্প্রতি কুলতলির গ্রামে রয়্যাল বেঙ্গল বেরিয়ে পড়া এবং সে বাঘকে খাঁচা বন্দি করে বনে ফেরত পাঠাতে ৫ দিনের কসরৎ লেগেছে। শুধু কুলতলীর ঘটনা নয় বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ফরেস্ট রেঞ্জ সংলগ্ন কালীতলা, সামসেরনগর, হেমনগর ইত্যাদি অঞ্চলে জঙ্গল ছেড়ে মাঝে মাঝেই লোকালয়ে চলে আসে বাঘ। কিন্তু সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল লোকালয়ে এমন ভাবে চলে আসছে কেন?
আমফিন, ইয়াস ইত্যাদি ঝড়ের প্রভাবে নদীবাঁধের ভাঙনের জেরে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ জঙ্গলের আয়তন কমেছে। কিন্তু সেই সাথে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে এবছর। পশ্চিমবঙ্গ বন বিভাগ সূত্রে জানা যাচ্ছে ২০১৮, ১৯, ২০ তে যেখানে বাঘের সংখ্যা ছিল সেখানে ২১ সালে বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১১টি। যা এক প্রকার সুখবর। ফলে এক দিকের বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং জঙ্গলের আয়তন হ্রাস- দুয়ে মিলেই লোকালয়ে বাড়ছে বাঘের আনাগোনা। তাছাড়া ঐ ঝড়গুলির প্রভাবে নদীর নোনা জল বাঁধ ভেঙে মিস্টি জলের খাঁড়িতে ঢুকে গেছে। বাঘ নোনা জলের নদী-জঙ্গলে থাকলেও মিঠে জলই খায়। তাই জলের সমস্যাটাও বড় সমস্যা। যদিও বনমন্ত্রীর আপাত আশ্বাস পাওয়া গেছে – ৬ খানা স্পীড বোটে লাগাতার বড় ট্যাঙ্কারে মিঠে জল পাঠানোর বন্দোবস্ত হচ্ছে সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গলের জন্যে।