![](https://bigyanbhash.org/wp-content/uploads/2023/03/WhatsApp-Image-2023-03-26-at-6.15.52-PM-1024x614.jpeg)
পরবর্তী ইবোলা বা ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা পরের কোভিড উঠে আসতে পারে সুমেরু অঞ্চল থেকেই। দুনিয়া জুড়ে তাপমাত্রা বাড়ছে, আর ক্রমাগত গলছে সুমেরুর হিমবাহগুলো। ফলে ভাইরাসের জন্যে উর্বর জমি তৈরি করে দিতে পারে সুমেরু অঞ্চলের বরফগলা মাটি।
নতুন এক গবেষণায় সুমেরু বৃত্তের উত্তরে আয়তনে সবচেয়ে বড়ো হ্রদ হ্যাজেন থেকে মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছেন বিজ্ঞানীরা। ডিএনএ, আরএনএ সিকোয়েন্সের প্রমাণ পাওয়ার পর গবেষকদের লক্ষ্য ঐ পরিবেশে ভাইরাসের ভাণ্ডার সঠিকভাবে শনাক্ত করা। ভাইরাস ও তার পোষকের বিবর্তনের রাস্তাটা তুলনা করে বিজ্ঞানীদের আশংকা স্থিতাবস্থার বদল ঘটবে খুব তাড়াতাড়ি, এবং যেটা আরম্ভ হবে তাকে ভাইরাস স্পিলওভার বলা চলে। অর্থাৎ একসাথে অনেক ভাইরাস মুক্ত হয়ে যাবে পরিবেশে।
গবেষকরা লিখছেন, সুমেরু অঞ্চলের অনেক বাস্তুতন্ত্র এমনভাবেই পরিবর্তিত হচ্ছে যে নতুন রোগজীবাণুর আগমন কেবলই সময়ের অপেক্ষা। উচ্চ সুমেরু অঞ্চলে, অর্থাৎ সুমেরুর উত্তরদিকের অংশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রকোপ সবচেয়ে ভয়াবহ। শেষ কয়েক দশকে ঐ অঞ্চলের সামুদ্রিক বরফ গলে গেছে তিনভাগের একভাগ। ফলে সমুদ্র আর স্থলভাগ উভয়ই ভাইরাস নির্গমনের জন্য সুগম।
প্রোসিডিংস অফ দ্য রয়্যাল সোসাইটি পত্রিকার জীববিজ্ঞান বিভাগে প্রকাশিত হল নতুন এই গবেষণাপত্র।