অ্যান্টিবায়োটিক এড়াতে ব্যাকটেরিয়ার অভূতপূর্ব ফন্দি

অ্যান্টিবায়োটিক এড়াতে ব্যাকটেরিয়ার অভূতপূর্ব ফন্দি

যত দিন যাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতিভায় ততই বলীয়ান হয়ে উঠছে ব্যাকটেরিয়া। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কিন্তু এটা একটা বিপদঘণ্টা। যদিও ব্যাকটেরিয়ার এই বিশেষ ক্ষমতার একটা প্রাচীন উৎস রয়েছে। প্রতিবছর ব্যাকটেরিয়া-ঘটিত সংক্রমণে অগুনতি মানুষের মৃত্যু হয় গোটা দুনিয়া জুড়ে।
কিন্তু কীভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের নিখুঁত ঘেরাটোপ কাটিয়ে পালাতে পারে এইসব অণুজীব? টেলেথন কিডস ইন্সটিটিউটের অণুজীববিজ্ঞানী কালিন্ডু রড্রিগো এবং তাঁর সহকর্মীরা ঘটনাসূত্রে ব্যাকটেরিয়ার অভূতপূর্ব ফন্দির ব্যাপারটা আরেকবার আবিষ্কার করলেন। ওনারা খতিয়ে দেখছিলেন অ্যান্টিবায়োটিকে কীভাবে গ্রুপ এ স্ট্রেপ্টোকক্কাস সাড়া দেয়।
এই স্ট্রেপ্টোকক্কাস নামের ব্যাকটেরিয়া সাধারণত গলা ব্যাথা আর ত্বকের সংক্রমণের জন্য দায়ী। কিন্তু স্কারলেট ফিভার বা টক্সিক শক সিনড্রোমের মতো আরও জটিল রোগের দিকেও যেতে পারে।
বার্নেট ব্যাখ্যা করলেন, প্রত্যেক ব্যাকটেরিয়াকেই নিজের ফোলেট তৈরি করতে হয়। সেটার বদলে রোগের সৃষ্টি হয়। কিছু অ্যান্টিবায়োটিক এই ফোলেটের উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে ব্যাকটেরিয়ার বিকাশ রোধ করতে পারে। ফলে রোগটা সেরে যায়।
কিন্তু স্ট্রেপ্টোকক্কাসের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অন্য নজির দেখলেন গবেষকরা। এই ব্যাকটেরিয়ার গ্রুপের জন্য যে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয় সেটা প্রয়োগ করার পরেও সংক্রমণ যায়নি। এই প্রথমবারের জন্য গবেষকরা আবিষ্কার করলেন ব্যাকটেরিয়ার অন্য এক ফিকির। নিজের দেহে ফোলেট তৈরি যখন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তখন পোষকের (এই ক্ষেত্রে মানুষ) দেহ থেকে সরাসরি ফোলেট জোগাড় করে নিচ্ছে স্ট্রেপ্টোকক্কাস। বিজ্ঞানীরা অবাক দর্শক!