একটা সার্বজনীন ফ্লু ভ্যাক্সিন তৈরি করার লক্ষ্যে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা

একটা সার্বজনীন ফ্লু ভ্যাক্সিন তৈরি করার লক্ষ্যে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা

সায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত ফ্লু ভ্যাক্সিন নিয়ে একটা গবেষণায় বলা হচ্ছে, বিজ্ঞানীরা এমন একটা ফ্লু ভ্যাক্সিন তৈরির চেষ্টা করছেন, যাতে প্রত্যেক সাবটাইপের নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেন আছে, আগে ভ্যাক্সিনে কিছু সাবটাইপের অ্যান্টিজেন দেওয়া হত। এই ভ্যাক্সিন হয়তো সমস্ত ফ্লু ভাক্সিনের আধার হিসেবে কাজ করতে পারে। বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী ফ্লু-এর ক্ষেত্রে কোন স্ট্রেনটা পরবর্তী মহামারী ঘটাবে, তা আগে থেকে বোঝা সম্ভব নয়, সেক্ষেত্রে একটা সার্বজনীন ভ্যাক্সিন এর মোকাবিলা করতে সমর্থ হবে।
আমেরিকা ও কানাডার বিজ্ঞানীরা এক ধরনের mRNA লিপিড ন্যানোপার্টিকেল ভ্যাক্সিন তৈরি করেছেন, যাতে ইনফ্লুয়েঞ্জা ‘এ’ ও ‘বি’ ভাইরাসের জন্য দায়ী যে ২০টা সাবটাইপ জানা আছে, তার প্রত্যেকটার অ্যান্টিজেন বর্তমান। এই ভ্যাক্সিন ইঁদুর আর বেজির ওপর প্রয়োগ করার পর দেখা গেছে, ক্রস-রিঅ্যাক্টিভ, প্রতি সাব-টাইপের জন্য নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা এই প্রাণীগুলোকে রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা করছে আর মৃত্যু থেকে বাঁচাচ্ছে। আরো দেখা গেছে, এই ভ্যাক্সিনে যে ইনফ্লুয়েঞ্জার অ্যান্টিজেন মিলছে এবং যার অ্যান্টিজেন মিলছে না, উভয়ের ক্ষেত্রেই এটা কার্যকারী।
SARS-CoV-2 –এর ওপর mRNA ভ্যাক্সিনের সফলতার পর, গবেষকরা কুড়িটা ন্যানোপার্টিকেল – এর আবরণযুক্ত যে mRNA তৈরি করেছেন, তার প্রত্যেকটা ন্যানোপার্টিকেল পৃথক হিমাগ্লুটানিন অ্যান্টিজেনের জেনেটিক কোডিং করা, যা ভাইরাসকে কোশে প্রবেশ করতে সাহায্যে করে।
গবেষণায় বলা হয়েছে ইঁদুরদের ভ্যাক্সিন দেওয়ার চার মাস পরে, তাদের অ্যান্টিবডির মাত্রা স্থিতিশীল হয়।
গবেষণায় এটাও বলা হয়েছে, পুরানো পদ্ধতি ব্যবহার করে উৎপাদিত মাল্টিভ্যালেন্ট প্রোটিন ভ্যাকসিন কম অ্যান্টিবডি তৈরি করে এবং mRNA ভ্যাকসিনের তুলনায় তা কম প্রতিরক্ষামূলক।