গুজবের তত্ত্বতালাশ – ভালো গসিপ সোনার পাথরবাটি নয়!

গুজবের তত্ত্বতালাশ – ভালো গসিপ সোনার পাথরবাটি নয়!

গুজবে কান দেবেন না বলে যতই প্রচার করা হোক, এটা সমাজের গোপন আনন্দ। চক্রান্ত করে মিথ্যে রটানো যদিও সমর্থনযোগ্য নয়, কিন্তু গুজবকে যে সবসময় মিথ্যে হতেই হবে এমনটাও নয়। গসিপের মূলে সামান্য সত্যি থাকলেও তার একটা উপকারী দিক আছে, নতুন গবেষণা এমন কথাই শোনাচ্ছে।
গুজবের গাণিতিক মডেল তৈরি করে সম্প্রতি ইগ নোবেল পেলেন দুই বিজ্ঞানী। এই পুরষ্কার হাস্যকর হলেও, অযৌক্তিক একেবারেই নয়। প্রথমে হাসাবে, তারপর ভাবতে বাধ্য করবে – এমন বিষয় নিয়েই নোবেল প্রাইজের এই ব্যাঙ্গাত্মক সংস্করণ।
অ্যামস্টারডামের ভ্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পল ভ্যান ল্যাঞ্জ আর বেজিং-এর চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের জুনহুই য়ু। এই দুই গবেষকের কেরামতিতেই তৈরি হল গুজবের গাণিতিক মডেল। গসিপকে একটা ত্রিভুজের আকারে উপস্থাপন করেছেন এঁনারা। ত্রিভুজের ভূমির একটা প্রান্তে আছে গুজব তৈরি যে করছে, তার উল্টোদিকে যে শুনছে সে। আর ভূমির উপর শীর্ষবিন্দুতে আছে সে যাকে নিয়ে গুজব।
নেদারল্যান্ডের আইন্দোভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লিও টিওখিন এই গবেষণায় সহায়তা করেছিলেন। উনি বলছেন, ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে গুজব স্বাস্থ্যকর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাতে দলের মধ্যে মেলবন্ধন বাড়ার সুযোগও রয়েছে।