চাঁদের জল আসলে পৃথিবীর!

চাঁদের জল আসলে পৃথিবীর!

চাঁদের পৃষ্ঠে ও গর্ভে যে জল সঞ্চয়ের কয়েকটি অঞ্চল শনাক্ত করেছে নাসার লুনার রেকনেসা মহাকাশযান তার উৎস খুঁজতে গিয়ে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জেনেছেন, পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের সহায়তায় চাঁদে এই জল এসেছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস পত্রিকায় বিজ্ঞানীদের সেই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রত্যেক চান্দ্রমাসের মধ্যে অন্তত ৫ দিন পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের মধ্যে অবস্থান করে চাঁদ। তবে সবসময় যে জল তৈরির প্রক্রিয়া ঘটে না। কোনও সৌরঝড় এসে পড়লে শুরু হয় সেই প্রক্রিয়া। ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের অন্যতম কাজ হল সৌরঝড়ের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করা। তবে সৌরঝড়ের ধাক্কায় ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের চৌম্বক রেখাগুলি খানিকটা নষ্ট হয়ে যায়। আর তখন চাঁদের কাজ হয় এই ক্ষতিগ্রস্ত চৌম্বক রেখাগুলির মেরামত করে তোলা। এই প্রক্রিয়ার সময় হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়ন জুড়ে গিয়ে জলের অণু তৈরি হয়। আর চাঁদ তার দুর্বল অভিকর্ষ শক্তি দিয়েও সেই জলের অণু টেনে নেয় নিজের দিকে। শুধু সৌরঝড়ের প্রভাবে নয়, কোনও উল্কা বা ধূমকেতুর আঘাতেও ম্যাগনেটোস্ফিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখনও চাঁদের কাজ একইভাবে চলে বলেই অনুমান বিজ্ঞানীদের। এছাড়া চাঁদের বুকেও উল্কা এবং ধূমকেতুর সঙ্গে কিছু জল জমে বলে অনুমান করছেন তাঁরা। তবে চাঁদে জলের মূল উৎস যে পৃথিবীই, সেরকমই দাবি গবেষকদের।