ড্রোনে চেপে শহর ঘুরলেন যুবক

ড্রোনে চেপে শহর ঘুরলেন যুবক

আকাশে ওড়ার ইচ্ছে মানুষের বহুদিনের। সেই ইচ্ছে থেকেই পুষ্পকরথের কল্পনা, একই ইচ্ছে থেকে বিমান, হেলকপ্টার, বেলুনের মতো যুগান্তকারী আবিষ্কার। অন্যদিকে ঈগলের চোখে পৃথিবীকে দেখার সাধও পুরণ হয়েছে মানুষের। যবে এসেছে ড্রোন (Drone) নামের আজব যন্ত্র। ড্রোন ক্যামেরায় শুট করার কথা সকলের জানা। কিন্তু সেই ড্রোনে চেপে যে মানুষও উড়তে পারে, তেমনটা ভাবা খানিক কঠিন বটে। যদিও সেই কাজ করে ফেলেছেন হান্টার কোয়াল্ড (Hunter Kowald ) নামের এক যুবক। আমেরিকার (America) নিউ ইয়র্কের শহরে দিব্য ড্রোনে চেপে উড়ছেন হান্টার। সম্প্রতি এমন ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যারপর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
নিউ ইয়র্ক শহরের বাসিন্দা হান্টার কোয়াল্ড। তিনি তাঁর আশ্চর্য যানের নাম দিয়েছেন ‘দ্য স্কাই সার্ফার’ (The SkySurfer)। ওই যানে চেপে নিজের শহরে উড়ে বেড়াচ্ছেন যুবক। যা দেখে লোকে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাচ্ছে। হান্টার নিজেই সেই আশ্চর্য উড়ানের ভিডিও সম্প্রতি টুইটারে পোস্ট করেছেন। মুহূর্তে যা ভাইরাল হয়। যুবকের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের কমেন্ট বক্স ভরে ওঠে কোটি কোটি প্রশংসায়। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মাথায় হেলমেট পরে হান্টার উড়ে বেড়াচ্ছেন শহরে। নীচ দিয়ে যাতায়াত করছে অসংখ্য গাড়ি। হঠাৎ করে মনে হয় হলিউডের সায়েন্স ফিকশন ছবির দৃশ্য বুঝি। এখন সকলেরই প্রশ্ন, এমন যান তৈরির ভাবনা এল কোথা থেকে?
হান্টার জানিয়েছেন, ছোট থেকেই ওড়ার সখ তাঁর। বাবার থেকেই এমন নেশায় পেয়েছে তাঁকে। আসলে হান্টারের বাবা একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত পাইলট। হান্টার নিজে স্কেটিংও করে থাকেন। এই যানটিকে উড়ন্ত স্কেটিংবোর্ড বললেও ভুল বলা হয় না। হান্টার বলেন, “আমার মনে হয় এমন যানের ভাবনা আমার মাথায় আগে থেকেই ছিল। তাছাড়া উড়ানের প্যাশান তো অনেক দিনের।”
যুবক জানিয়েছেন, যন্ত্র তৈরি করতে বেশ কয়েক মাস সময় লেগেছে। একে একে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ যোগার করতে সক্ষম হন। তারপরই তাক লাগানো যান তৈরি করে ফেলেন। প্রথমবার অভিনব যানে উড়ানের অভিজ্ঞতা ছিল রোমহর্ষক, জানিয়েছেন যুবক হান্টার কোয়াল্ড। তবে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে স্নোবোর্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে তাঁর।