তুতেনখামুনের সমাধি নিয়ে নতুন রহস্য – নেফার্তিতির মমিও হয়তো ওখানেই!

তুতেনখামুনের সমাধি নিয়ে নতুন রহস্য – নেফার্তিতির মমিও হয়তো ওখানেই!

তুতেনখামুনের মমি আবিষ্কার হওয়ার একশো বছর পূর্তি চলছে। তার মধ্যেই দানা বাঁধল নতুন বিতর্ক। মিশরের বিখ্যাত এই কবর থেকে এখনও উঠে আসছে নতুন তথ্য। আরেকবার প্রশ্নের মুখে গবেষকদের এতও দিনকার ধারণা।
নিকোলাস রিভস একজন বিখ্যাত ব্রিটিশ মিশরবিদ। লন্ডনের বিশ্ববন্দিত ব্রিটিশ মিউজিয়ামে কিউরেটরের দায়িত্বও সামলেছেন বহুদিন ধরে। ওনার দাবী উনি নতুন প্রমাণের সন্ধান পেয়েছেন। যা থেকে বোঝা যাবে বালকরাজা তুতেনখামুনের সৌধের উপর রাজকীয় মুর‍্যাল কিংবা হায়রোগ্লিফিক্স হয়তো অন্যকিছু ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা। আবিষ্কৃত সমাধি যে ফ্যারাও তুতেনখামুনের নয় এমন তর্ক অনেক আগে থেকে তুলছেন রিভস সাহেব। বরং তাঁর পূর্বসূরি, রানী নেফার্তিতির মুখের ছাপ ঐ সব মুর‍্যালে নাকি খুবই স্পষ্ট। কিন্তু কিংবদন্তী রানীর মমি আজও খুঁজে পাননি কোনও গবেষকই।
নিকোলাস রিভসের ধারণাটা এইরকম – সমাধিটা প্রথমে নেফার্তিতির ছিল। পরে, মাত্র ১৯ বছর বয়সে তুতেনখামুনের অকালমৃত্যুর পর আগের সমাধি সরিয়ে বালক ফ্যারাওয়ের সৌধ তৈরি হয়। সপক্ষে যুক্তিও দিচ্ছেন রিভস। প্রথমত, সমাধির আকার তুলনায় ছোট যা রাজার চেয়ে রানীর জন্যেই তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। দ্বিতীয়ত, মমির সাথে পাওয়া খাজানা বিশ্লেষণ করে বোঝা যায় সেগুলো নারীদের জন্য বেশি উপযুক্ত। রিভসের আরও দাবী ঐ সমাধির খুব কাছাকাছিই আছে নেফার্তিতির মমি।