নতুন বরফ আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

নতুন বরফ আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

নতুন এক ধরনের বরফ আবিষ্কার করলেন একদল বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন বরফের নতুন এই ধরন পৃথিবীতে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধু পৃথিবীতেই নয় পৃথিবীর বাইরে অন্য কোন গ্রহে এই ধরনের বরফ এর হদিশ পাননি তারা। নতুন এই আবিষ্কারে বিজ্ঞানীরা বেশ উৎসাহিত, তারা জানিয়েছেন এই ধরনের বড় বৃহস্পতির চাঁদ অর্থাৎ ইউরোপার পৃষ্ঠদেশে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের ধারনা বরফের এই ধরন কোন বরফে মোড়া গ্রহেই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, ঠিক যেমনটা ইউরোপার ক্ষেত্রে দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। উচ্চচাপের মধ্যে জলের বিভিন্ন উপকরণ গুলি পর্যালোচনার মাধ্যমে নতুন এই বরফের আবিষ্কার করা হয়েছে। তারা এই বরফের নাম দিয়েছেন Dubbed Ice-VIIt। বরফের নতুন এই ধরনটি ice-vii এবং ice-x এর মাঝামাঝি পর্যায়ে একটি কিউবিক ফেজে আবিষ্কার করা হয়েছে। তারা এও জানিয়েছেন বরফের এই ধরনটি একেবারে অন্যরকম এবং পৃথিবীতে কোন জায়গায় এই ধরনের বরফ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও সৌরজগতে অন্য কোনো গ্রহে এই ধরনের বরফ আছে কিনা সে সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের কাছে কোন ধারণা নেই। তারা আশা করছেন বৃহস্পতি গ্রহের সবচেয়ে বড় চাঁদ অর্থাৎ ইউরোপাতে এই ধরনের বরফ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এবার প্রশ্ন হল এই ধরনের বরফ কিভাবে আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা? এ সম্পর্কে তারা বলেছেন দুটি বিপরীতমুখী থাকা হিরের মাথায় জলের নমুনা রাখা হয়েছিল এবং সেই জলের নমুনা কে লেজার হিটিং টেকনিকের মধ্য দিয়ে সাময়িকভাবে বরফের উপকরণগুলো গলানোর চেষ্টা করা হয়েছে। জলের মধ্যে তৈরি হওয়া ছোট ছোট ক্রিস্টাল গুলি তৈরি হওয়ার আগেই সেটি গুলিয়ে ফেলা হয় এবং ধীরে ধীরে চাপ বাড়ানো হয়, যার ফলে ধীরে ধীরে একটি কিউবিক আকারের বরফ তৈরি হয়। এরপর জলের মধ্যে থেকে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন পরমাণু গুলি আলাদা করে নেয়া হয় ও আরো অন্যান্য অ্যারেঞ্জমেন্টের মাধ্যমে নতুন বরফের এই ধরনটি আবিষ্কার করেছেন তারা।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন আগামীতে তারা বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপায় একটি মিশন করতে চাইছেন, যে মিশনের মাধ্যমে তারা এই উপগ্রহে থাকা বরফের নমুনা সংগ্রহ করবেন। তাদের নতুন আবিষ্কৃত বরফের সাথে সেই বরফের তুলনা করবেন। নতুন এই ধরনের বরফ আবিষ্কারের মাধ্যমে এক্সোপলানেট-এর গাঠনিক উপাদান বুঝতে সাহায্য করবে বিজ্ঞানীদের। বরফের নমুনা যদি অন্য কোন গ্রহ বা উপগ্রহে বিজ্ঞানীরা খুঁজে পান তবে সেখান থেকে তারা বুঝতে পারবেন ওই গ্রহে বা উপগ্রহে বসবাসের উপযুক্ত পরিস্থিতি আছে কিনা সে বিষয়ে।