২০১৮-র জানুয়ারি মাসে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহের উপস্থিতিতে শুরু হয়েছিল ত্রৈমাসিক বিজ্ঞানভাষ পত্রিকার পথ চলা। তার উত্তরণ ঘটল ২০২১-এর অগষ্টে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে।
বিজ্ঞানভাষ এখন দৈনিক। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ লিভার উদ্বোধন হল বিজ্ঞানভাষ ইউ টিউব চ্যানেলের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভামুখ্য ছিলেন ফাউন্ডেশনের সচিব ডঃ পার্থ সারথী মুখার্জী। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘সাহা ইন্সটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স’ -এর অধ্যাপক সাত্যকি ভট্টাচার্য, ‘জে বি এন এস টি এস’-এর অধিকর্তা মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য, বিখ্যাত নাট্যকর্মী ও অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার, দৈনিক বিজ্ঞানভাষের সম্পাদক ডঃ দেবদূত ঘোষঠাকুর এবং লিভার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও দৈনিক বিজ্ঞানভাষের প্রধান সম্পাদক ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী।
সাত্যকিবাবু, মৈত্রীদেবী, দেবশঙ্করবাবুরা প্রত্যেকেই শুভকামনা জানান ইউটিউব চ্যানেলের পথচলায়। বিশেষকরে ভারতের মতো দেশে অপবিজ্ঞানকে যেমন করে বিজ্ঞান বলে চালানো হয়, সেজায়গায় বিজ্ঞান আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দেন সাত্যকিবাবু। মৈত্রী দেবী বলেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর গবেষণার উপযোগী অনেক ছাত্র গড়ে তোলে। এই ছাত্ররা যাতে বিজ্ঞানভাষের উদ্যোগের মাধ্যমে বিজ্ঞানকে আপামর মানুষের সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলার কাজে যোগ দিতে পারে- সে কামনা করেন। দেবদূতবাবু বিজ্ঞানের পত্রিকার লেখার দিকটি যাতে সর্বজনপাঠ্য হয়- সেকথা মনে করিয়ে দেন। ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী বিজ্ঞানভাষের সার্বিক উদ্যোগ যে হটকে চিন্তা করা, বিজ্ঞানমনস্ক ছেলেমেয়েদের জন্যেই- বলেন সেকথা।
সভামুখ্য পার্থবাবু ইউটিউব চ্যানেলটির ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা বিষয়ে বলেন দুচারকথা। সবমিলিয়ে বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতিতে বিজ্ঞান আন্দোলনের আরও এক পথচারী হিসেবে চলতে চাইছে বিজ্ঞানভাষ।
আলোচনার মধ্যেই একটি সুখবর দিলেন ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী, ‘এবার থেকে জে.বি.এন.এস.টি.এস বিজ্ঞানভাষের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।’ এছাড়া, আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করার প্রয়াস। বিজ্ঞানভাষের পোর্টাল এবং ইউ টিউব চ্যানেল দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে যাতে চারপাশের অজস্র ঘটনাবলি সম্পর্কে বিজ্ঞানসম্মত ভাবনার সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞানভাষের ইউ টিউব চ্যানেল সেই কাজটাই করবে। শুধু তাই নয়, বাংলা, ভারত এবং বিশ্বের প্রচুর বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের কাজের কথা মানুষকে সহজভাবে জানানোর কাজও করবে ইউ টিউব চ্যানেল। আলোচনায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে যে, দেশে ও বিদেশে প্রচুর মানুষ বিজ্ঞানের যে অপব্যাখ্যা করেন (গনেশের নাকের প্লাস্টিক সার্জারির মত!) তাকেও দূর করার প্রয়াস নেবে বিজ্ঞানভাষের ইউ টিউব চ্যানেল।
https://www.youtube.com/channel/UC0qHb2W3UInNBO9hxh6LFOw